সর্বশেষ

Friday, November 21, 2025

জলঢাকায় সনাতন ধর্মালম্বীদের নিয়ে জামায়াতের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জলঢাকায় সনাতন ধর্মালম্বীদের নিয়ে জামায়াতের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজঃ  নীলফামারীর জলঢাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে নির্বাচনী সমাবেশ করলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখা। উপজেলা জামায়াতের আমীর মোখলেছুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোয়াম্মার আল হাসান এর সঞ্চালনায় জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রায় দুই সহস্রাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী এই সমাবেশে অংশগ্রহন করেন। সমাবেশে ১০ জন হিন্দু নেতা বক্তব্য প্রদান করেন। হিন্দু নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, এতদিন হিন্দুদেরকে একটি বিশেষ দলের দিকে ঠেলে দিয়ে পক্ষ বানিয়ে রাখা হয়েছিলো। হিন্দুরা যে কারো হাতের পুতুল কিংবা পকেটের ভোট নয় তা এই সমাবেশে উপস্থিতিই প্রমান করে দিয়েছে। তারা বলেন, জামায়াতও এতদিন হিন্দুদেরকে কাছে টানার পরিবর্তে  দূরে রাখার নীতি অবলম্বন করেছিলো। তারা সকলে এই মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানান।

হিন্দু নেতা রামানুষ রায় বলেন, বিগত সরকারের আমলেও হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন করা হয়েছে।  সারাদেশে মুসলমানদের জন্যে অনেক মডেল মসজিদ নির্মান করা হলেও হিন্দুদের জন্যে কোনো মডেল মন্দির নির্মান করা হয় নাই। তিনি বলেন, হিন্দুরা বিভিন্ন সময় সাইবার বুলিং ও ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। হিন্দু যুবকের নামে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে অসত্য তথ্য ছড়িয়ে হিন্দুদেরকে জব্দ করা হয়। তিনি বিপদে আপদে সবসময় হিন্দুদের পাশে থাকতে জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে প্রধান অতিথি  নীলফামারী- ৩ (জলঢাকা) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াত সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যে সমাজ ও রাষ্ট্রে ধর্মীয় পরিচয়ে কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না। তিনি বলেন, তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হলে তিনি হিন্দুদের সকল সমস্যা সমাধানে তাদের পাশে থাকবেন।  

সমাবেশে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান জুয়েল, কর্ম পরিষদ সদস্য সাদের হোসেন সহ উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

Thursday, November 20, 2025

সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে পারেন খালেদা জিয়া

সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে পারেন খালেদা জিয়া


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর।

ফজলে এলাহি আকবর জানান, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। তবে শুক্রবার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এর আগে গত বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওইদিন খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন তাকে অভ্যর্থনা জানান

সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পেলেন জামায়াত আমিরসহ শীর্ষ নেতারা

সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পেলেন জামায়াত আমিরসহ শীর্ষ নেতারা


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন জামায়াত আমিরসহ শীর্ষ নেতারা। আগামীকাল শুক্রবার সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামায়াত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৬৫ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অনবদ্য পরিকল্পনা ও প্রজ্ঞার কারণে তিনি এখন বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে দলটির নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর দেশে দীর্ঘ দেড় দশক পরে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। ১/১১-এর সরকার এবং পরবর্তী আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসন, নির্যাতন, নিপীড়নের কারণে প্রবাসে ঠাঁই নেন তিনি। তবে সুদূর প্রবাসে থেকেও দেশ, দল ও সরকার নিয়ে বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে সবার নজর কেড়েছেন তিনি।
শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েই তিনি দায়িত্ব শেষ মনে করেননি। হাসিনার পলায়নের পর দেশে যখন সরকার শূন্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীহীন হয়ে পড়েছিল, তখন তিনিই নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন পাড়া-মহল্লায় পাহারা বসানোর। এ ছাড়া পূজার সময় মন্দিরে মন্দিরে নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থান, বন্যায় উদ্ধার-ত্রাণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। 
দীর্ঘদিন পর গত বছর এবং এবারও অন্য রকম পরিবেশে তারেক রহমানের জন্মদিন পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

কিন্তু তারেক রহমান নিজেই গত বছরের মতো এবারও জন্মদিনের কোনো অনুষ্ঠান পালন না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু নির্দেশই নয়, দিয়েছেন কঠোর বার্তাও। 
গত মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২০ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা, পোস্টার, ব্যানার লাগানো, আলোচনা সভাসহ কোনো ধরনের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান বা উত্সব পালন করা যাবে না। ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপির সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের দলীয় নির্দেশনাটি লঙ্ঘন না করার জন্য জোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দি করার পর তিনি শক্ত হাতে হাল ধরেন বিএনপির। সুদূর লন্ডনে থেকে অত্যন্ত সুচারুভাবে সংগঠন পরিচালনা করে চলছেন বিরামহীনভাবে। সেই ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে। প্রতিদিন প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবিরাম পরিশ্রম করে চলছেন। তিনি যত দূরেই থাকুন না কেন, নেতাকর্মীসহ দেশের যেকোনো স্থানে যেকোনো মানুষের যেকোনো বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁর নেতৃত্বে সারা দেশের তৃণমূল আবারও ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত হয়েছে এবং জনগণের মধ্যে পেয়েছেন জনপ্রিয় নেতার আসন। বিএনপি ও বিএনপির প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। তাঁরই ডাকে সাড়া দিয়ে সারা দেশে বিএনপির গণসমাবেশে মানুষের ঢল নামছে। 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। জনগণকে আপন করে কাছে টেনে নেওয়ার জাদুকরী কারিশমাটিক নেতৃত্ব, সম্মোহনী ব্যবহার আর এসব গুণই তাঁকে বিস্ময়কর জনপ্রিয়তার অধিকারী করে তোলে। পিতার পথ ধরেই শহরকেন্দ্রিক রাজনীতিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেন হাটে-মাঠে-ঘাটে। আওয়ামী লীগ ও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের আক্রোশের শিকার হয়ে তিনি ১/১১-তে গ্রেপ্তার হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। সেই ভয়াবহ নির্যাতনের ক্ষত আজও তাঁকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এখনো তিনি লন্ডনে চিকিত্সাধীন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদাতবরণ করায় মাত্র ১৫ বছর বয়সেই পিতৃহারা হন তারেক রহমান। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল থেকে তিনি মাধ্যমিক ও ঢাকার বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবিতে, পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষে ভর্তি হন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন। শিক্ষাজীবন শেষে ব্যবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। 
তারেক রহমান ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বড় মেয়ে ডা. জুবাইদা রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমান কৃতিত্বের সঙ্গে বার অ্যাট ল অর্জন করেন।
তারেক রহমান কিশোর বয়সে ১৯৮১ সালে বাবাকে হারালেও পড়াশোনার পাশাপাশি স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তাঁর মায়ের সহচর হিসেবে অংশ নেন। বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে তারেক রহমান বগুড়া জেলার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগেই তারেক রহমান রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচন ঘিরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রায় নেপথ্যে থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তারেক রহমান। তাঁরই রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অনবদ্য পরিকল্পনা ও প্রজ্ঞার কারণে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। 

দীর্ঘদিন দলের রাজনীততে গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেপথ্যচারীর ভূমিকা পালন করার পর ২০০২ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পান। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক রহমান সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ কাউন্সিলেও তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাগারে প্রেরণ করার পর থেকে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করেন।

বেঞ্চের অপর ছয় বিচারপতি হলেন— বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

আপিল বিভাগ বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে।

Wednesday, November 19, 2025

গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী সোহাগ হোসেন বাবুকে জলঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা

গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী সোহাগ হোসেন বাবুকে জলঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা

 

হাকীম বদিউজ্জামান জলঢাকা ঃ নীলফামারীর জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সোহাগ হোসেন বাবুকে সংগঠনের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার জলঢাকার ট্রাফিক মোড়ে আয়োজিত এক ঘোষণায় সংগঠনের স্থানীয় নেতারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

ঘোষণা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলাভঙ্গ, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

সংগঠনের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে নিচের কারণগুলো তুলে ধরা হয়ঃ

১. দলীয় নেতাকর্মীদের হেনস্তা ও অমূল্যায়নের মাধ্যমে মনোবল ভেঙে দেওয়া। ২. দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে একক মত চাপিয়ে দেওয়া। ৩. সংগঠনতন্ত্র-বিরোধী আচরণ এবং নেতৃত্বের নির্দেশনা অমান্য। ৪. দলের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টি করে ঐক্য নষ্টের চেষ্টা। ৫. স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক বিনিময়ের মাধ্যমে কমিটি গঠনের অভিযোগ। ৬. যোগ্য ও ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন। ৭. সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে উসকানিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উত্তেজনা সৃষ্টি। ৮. বিভিন্ন দপ্তরে বিভাজন সৃষ্টি করে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। ৯. দলীয় চেইন অব কমান্ড ভেঙে নিজেকে সর্বোচ্চ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ।

সংগঠনের নেতারা আরও দাবি করেন, অতীতে সোহাগ হোসেন বাবুর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডও দলীয় মূল্যবোধ ও আদর্শের পরিপন্থী ছিল।

ঘোষণায় উপস্থিত সহ-সভাপতি সোহেল রানা বলেন, “সংগঠনকে সুষ্ঠু ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমাদের এ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন তাইজুল ইসলাম সভাপতি, গন অধিকার পরিষদ জলঢাকা উপজেলা। জনাব বাবুল হোসেন

সভাপতি যুব অধিকার, জলঢাকা উপজেলা,নুর নবী ছাত্র অধিকার পরিষদ জলঢাকা উপজেলাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সোহাগ হোসেন বাবুর কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।

Tuesday, November 18, 2025

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রার্থীর প্রচারে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ চান ডিসিরা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রার্থীর প্রচারে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ চান ডিসিরা

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক-কর্মচারী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। পরে আবার তারাই ভোটের দায়িত্বও পালন করবেন। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের স্বার্থে তাদের নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ চেয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ৬৪ জেলার ডিসি ও আট বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সভায় রাজশাহী বিভাগের এক ডিসি জানিয়েছেন, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন মূল বেতনের পুরোটা সরকার থেকে পান। এর সঙ্গে সামান্য কিছু ভাতা দেওয়া হয় তাদের। জাতীয় নির্বাচনে তারা প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসব কর্মকর্তা কেন্দ্র ও কক্ষের পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান থাকলে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে প্রতিবন্ধকতার শঙ্কা রয়েছে। 

এর আগে ২০২৩ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডিসিরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বেসরকারি হওয়ায় তারা সরাসরি রাজনীতি করার সুযোগ পান। এই সুযোগ বন্ধ হওয়া উচিত। তাই সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জন্যও সুনির্দিষ্ট বিধিমালা করার প্রস্তাব এসেছিল। তবে সরকারের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।  

এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারি কর্মচারীর মতো একটি বিধিমালা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ঝিনাইদহের তৎকালীন ডিসি মনিরা বেগম। প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়েছিল, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতে পাঠদান কার্যক্রমে তাদের দায়সারা আচরণ দেখা যায়। বিধিমালা হলে শিক্ষকতার পাশাপাশি ঠিকাদারি, সাংবাদিকতাসহ একাধিক পেশায় যুক্ত থাকার প্রবণতা ঠেকিয়ে শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিক করা যাবে। বিধিমালা বা নীতিমালা থাকলে শিক্ষকতা পেশায় থেকে রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণে নিরুৎসাহিত করাও সম্ভব। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ সময় জাতীয় নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে ডিসিদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা  

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের নির্বাচন গতানুগতিক নির্বাচন নয়, এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন। আগামী নির্বাচন ও গণভোটে শতভাগ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।  

ডিসি ও কমিশনারদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচন শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের একটি নির্বাচন নয়, গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ। এটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নির্বাচন। জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে, সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যেতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, এই নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়ার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির জন্য নির্ধারিত হবে শতাব্দীর গতিপথ। এই নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে এবং জেলা প্রশাসকরা থাকবেন ধাত্রীর ভূমিকায়। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের যা যা জানা প্রয়োজন সব জেনে নেবেন। নির্বাচন উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিপুল সংখ্যক তরুণ ও নারী ভোটার রয়েছেন, যারা ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হলেও গত ১৫ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তারা দেখতে চান কেমন নির্বাচন হচ্ছে।

সূত্রঃ দৈনিক সমকাল।