সর্বশেষ
Monday, October 20, 2025
জলঢাকায় টুইন পিট ল্যাট্রিন স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে হরিলুট
ল্যাট্রিন প্রস্তত ও স্থাপনে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইচ্ছেমতো নিম্নমানের খোয়া ও মেথি বালু দিয়ে রিং স্লাব ও খুঁটি তৈরী করে তা সুবিধাভোগিদের বাড়ীতে স্থাপন করে দিচ্ছে। এই প্রতিবেদকের পরিদর্শনের সময় খুটামারা ইউনিয়নের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তিতলী স্যানিটেশনের নির্মান শ্রমিক ছাড়া সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা জলঢাকা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীকে পাওয়া যায় নাই। ঠিকাদারকে ফোন দিলে তিনি আসতে পারবেন না বলে জানান।
মীরগঞ্জ ইউনিয়নের ল্যাট্রিন নির্মানকারি প্রতিষ্ঠান আ.সাত্তার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বালার পুকুর নামক স্থানে এই ল্যাট্রিনের রিং স্লাব ও খুঁটি তৈরী করছেন। তিনি রিং স্লাব ও খুঁটি নির্মানে চাতুরতার আশ্রয় নিয়ে একাধিক খোয়ার স্তুুপ করে রেখেছেন এবং এই ল্যাট্রিন নির্মানে সবচেয়ে নিম্নমানের ৩ নম্বর খোয়া ও ভিটি বালু ব্যাবহার করছেন। শৌলমারী ইউনিয়নের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রিদয় ট্রেডার্স শৌলমারী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বড়বাড়ীতে এই ল্যাট্রিন সামগ্রী তৈরী করছেন এবং সেখানেও ২নং খোয়া ও মেথি বালু ব্যাবহার করা হচ্ছে। এখানে যে ল্যাট্রিন সামগ্রী তৈরী করা হচ্ছে তা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জানেনই না বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিটি ল্যাট্রিন নির্মান ও স্থাপন বাবদ ৩৫০০০/ টাকা বরাদ্দ থাকলেও প্রদত্ত রিং, স্লাব, প্যান, ঢেউটিন, খুঁটি, খোয়া, সিমেন্ট ও মিস্ত্রী খরচ মিলে যার বাজারমূল্য কোনোভাবেই ১৫০০০- ১৮০০০/ টাকার বেশী নয় বলে প্রাপক সুবিধাভোগি সাদের আলী জানান। অর্থাৎ প্রতিটি ল্যাট্রিন স্থাপনে নিট লাভ দাড়াচ্ছে ১৫০০০ - ১৭০০০/ টাকা। সরকারি টাকার এমন যথেচ্ছ অপব্যাবহার ও লুটপাটে হতবাক সাধারন জনগন।
এ বিষয়ে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী নঈমুল এহসান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সুবিধাভোগী তালিকা প্রস্ততকরনে তার কোনো হাত নেই, এটি দাতা প্রতিষ্ঠান নিজেরাই মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগনের সহায়তায় তৈরী করেছে। তবে তালিকায় কোনো অসঙ্গতি থাকলে এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো রকম অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি করে থাকলে তিনি এ বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। দুইদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো ব্যাবস্থা গ্রহনের তথ্য পাওয়া যায় নাই। কাজ চলছে আগের মতই।
সৈয়দপুরে মহিলা দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, দুই নেত্রীর কার্যক্রম স্থগিত
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর জেলা বিএনপি দুই পক্ষের নেত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওনক জাহান রিনু ও সাধারণ সম্পাদক রুপা শনিবার রাতে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মহিলা দলের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা মারামারিতে লিপ্ত হন। এতে অন্তত ছয়জন আহত হন এবং আহতদের সৈয়দপুর ১০০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট দুই নেত্রীর দলীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
Sunday, October 19, 2025
শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন কবে থেকে কার্যকর, জানালো সরকার
রোববার উপসচিব মিতু মরিয়ম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়—সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া নিম্নোক্ত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) প্রদান করা হলো।
শর্তসমূহের মধ্যে রয়েছে—বাড়িভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতনস্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে; 'বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১', ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে;
তৃতীয়ত, বর্ণিত ভাতাদি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীগণ কোন বকেয়া প্রাপ্য হবেন না;
চতুর্থ, ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই পালন করতে হবে; সর্বশেষ শর্ত হচ্ছে—এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোন অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন; এ আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ হতে কার্যকর হবে।
এদিকে বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এবার আর প্রতিশ্রুতি নয়, প্রজ্ঞাপন ছাড়া অবস্থান থেকে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
Saturday, October 18, 2025
জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই : কর্নেল অলি
![]() |
কর্নেল অলি আহমেদ |
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নন্দলালপুর ছামাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলডিপির আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কর্নেল অলি বলেন, ‘জুলাই সনদে যে বক্তব্যগুলো আছে, তা এখনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
আগামী দিনে যে সংসদ আসবে, যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদেরই এই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছি এবং আপনাদের কাছে এসেছি। ভালো ও যোগ্য লোকদের সংসদে পাঠাতে পারলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষ ন্যায়বিচার পাবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যারা ভারতের দালালি করছে এবং ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, তাদের বিচার একদিন এই বাংলার মাটিতেই হবে।
এখন আর মার্কা দেখে ভোট নয়, এখন ভোট দিতে হবে যোগ্যতা দেখে। আমাদের মার্কা ছাতা। দেশের উন্নয়ন, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের পাশে থাকুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের সন্তান বিল্লাল মিয়াজি এই আসনে আমাদের প্রার্থী।
তিনি অত্যন্ত সৎ ও ভালো মানুষ, তার পাশে থাকুন। বিএনপির সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। এই আসনটি বিল্লাল মিয়াজিকে দেওয়ার বিষয়ে আমরা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলব।’
সমাবেশের এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘এ দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ভারত পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। আমাদের জীবদ্দশায় এই স্বৈরাচারিণী ও তার দল আর কোনো দিনই দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘ভারত আমাদের ৪১টি নদীর প্রবাহ রোধ করে রেখেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোটগতভাবে ক্ষমতায় এলে আমরা ভারতের কাছ থেকে আমাদের পানির ন্যায্য অধিকার আদায় করব, ইনশাআল্লাহ। যারা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে, তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিচার করা হবে।’
মতলব উত্তর উপজেলা এলডিপির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন প্রধানে সভাপতিত্বে ও উপজেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিবউল্ল্যা খোকনের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আওরঙ্গজেব বেলাল, চাঁদপুর-২ আসনের বিএনপি জোটের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় মহিলা এলডিপির সভাপতি অধ্যাপক কারিমা খাতুন, কেন্দ্রীয় এলডিপির আইন বিষয়ক সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মিলু, কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের এস এল আল মামুন, কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের কাজী কামরুল ইসলাম এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়ন এলডিপির সভাপতি ফয়েজ সরকারসহ প্রমুখ।
Friday, October 17, 2025
যা আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়
তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে সকল রাজনৈতিক দল। বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যন্যা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে নিয়ে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই সনদ স্বাক্ষর করেন।
শুক্রবার বিকেল জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়। এ সময় ২৫টি দল স্বাক্ষর করেন।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত অঙ্গীকারনামায় যা বলা হয়েছে
রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরের জন্য যে জুলাই সনদ ২০২৫ তৈরি করা হয়েছে তাতে দলগুলোর জন্য সাতটি অঙ্গীকারনামা প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর (১) ধারায় বলা হয়েছে, 'জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে রাজনৈতিক দলগুলো।
দুই ধারায় বলা হয়েছে- আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ গ্রহণ করেছি বিধায় এই সনদ পূর্ণাঙ্গভাবে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্ত ভাবে সংযুক্ত করা হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে অঙ্গীকারনামার তিন ধারাটি। এই ধারায় বলা হয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করবে না দলগুলো। একই সাথে এই সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
চতুর্থ দফায়- গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের দীর্ঘ ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।
পঞ্চম দফার ঘোষণায়- 'গণঅভ্যুত্থান-পূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান-কালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে।
ষষ্ঠ দফায়- জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তথা সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান এবং বিদ্যমান আইনসমূহের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সহযোজন, পরিমার্জন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধনের অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে।
আর শেষ দফায়, জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত যে সকল সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
জলঢাকা উপজেলা এনসিপি'র প্রতিষ্ঠাকালীন সাত সদস্যের পদত্যাগ
মাহমুূদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজ: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা এনসিপি'র প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিম রাজুর বিরুদ্ধে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পরিবারতান্ত্রিক পকেট কমিটির অভিযোগ তুলে গণপদত্যাগ করলো এনসিপি জলঢাকার প্রতিষ্ঠাকালীন ০৭ জন প্রভাবশালী নেতা। জলঢাকা উপজেলা এনসিপি'র ২১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক মামুনার রশীদ বকুলের নেতৃত্বে পদত্যাগকারী অন্যান্য সদস্যগন হলেন- ফরহাদ হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোহাম্মদ চান মিয়া, মো. আব্দুল্লাহেল বাকি, মো. সাইফুল ইসলাম, ডা. আদিবুর রহমান আদিব।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬.০০ টায় জলাঢাকা প্রেস ক্লাবে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে এনসিপি'র উপজেলা নেতাগন গণপদত্যাগের এই ঘোষনা প্রদান করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনসিপি'র জলঢাকা উপজেলার পদত্যাগী যুগ্ম সমন্বয়ক মামুনার রশীদ বকুল।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে জনাব বকুল বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন স্বপ্ন নিয়ে আমরা এনসিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম এবং গ্রাম গঞ্জে ঘুরে ঘুরে এনসিপিকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করাতে বিরামহীন ছুটে চলেছিলাম। কিন্ত উপজেলা সমন্বয়কের একক আধিপত্য, সিদ্ধান্ত গ্রহনে স্বেচ্ছারিতা, অসদাচরন ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কারণে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি।
এখন অন্য কেনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিবেন কি-না - এমন প্রশ্নের জবাবে জনাব বকুল বলেন, আমরা অবশ্যই রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকবো তবে সে রাজনীতি হবে জনগণের পাশে থেকে জনসম্পৃক্ত ও জনকল্যানের রাজনীতি।