সর্বশেষ

Tuesday, November 25, 2025

বিএনপি নেতার নেতৃত্বে উজাড় সন্দ্বীপ উপকূলীয় বনাঞ্চল

বিএনপি নেতার নেতৃত্বে উজাড় সন্দ্বীপ উপকূলীয় বনাঞ্চল


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ সন্দ্বীপের উপকূলীয় বন কেটে সরকারি জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার অনুসারীদের নিয়ে মগধরা ইউনিয়নের এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বন রাতের আঁধারে কেটে উজাড় করছেন তিনি।

আর নদী ও সড়ক পথে এসব বনের গাছ স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটাসহ হাতিয়া ও সুবর্ণচরে পাচার করে দিচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এতে দ্বীপ উপজেলার প্রধান উপকূল রক্ষা বাঁধ মারাত্মক হুমকিতে পড়ে নদীভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি অর্থে লাগানো হাজার হাজার গাছ ধ্বংস হচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মগধরা এলাকার বিস্তৃত বনটি ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর কোস্টাল গ্রীণবেল্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বনায়ন করা হয়। যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় অঞ্চলকে সুরক্ষা দেবে। অভিযোগ ওঠেছে, বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলম প্রকাশ্যে বন উজাড় করলেও উপকূলীয় বন বিভাগ, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন মুখে কুলুপ এঁটেছেন।


স্থানীয় বাসিন্দারাও ভয়ে মুখ খুলছেন না। স্থানীয়ভাবে প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মগধরা ইউনিয়নে দ্বীপ সুরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন বন বিভাগের সৃজিত বনের প্রায় ২০ একর জায়গার কেওড়া ও অন্যান্য ম্যানগ্রোভ প্রজাতির হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে অসংখ্য গাছের গুঁড়ি দৃশ্যমান। কাটা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়াও কাটা গাছের টুকরো কুড়াচ্ছেন স্থানীয় নারীরা।


স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফের অভিযোগ, গাছ কেটে বন উজাড়ের ঘটনায় বন বিভাগের কিছু অসাধু লোকজনের যোগসাজশ রয়েছে । আমরা অভিযোগ দেওয়ার পরেও বন বিভাগের কেউ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেনি । এভাবে দীর্ঘদিন উপকূলীয় বনায়ন উজাড় হলেও প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।


সন্দ্বীপ চ্যানেল তীরবর্তী প্রতিরক্ষা-বন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নদীভাঙনের ঝুঁকি ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাবে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বেড়িবাঁধসংলগ্ন বাসিন্দা হাসিনা বেগম বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বন উজাড় করা হচ্ছে। কিন্তু গেল তিন সপ্তাহ ধরে বনে প্রতিদিন গাছ কাটা হচ্ছে। বেড়িবাঁধের এক চা দোকানদার আমার দেশকে জানান, একটি গ্রুপ রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত, আরেকটি একটি গ্রুপ ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বন কাটছে। সবই হচ্ছে বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলমের নেতৃত্বে। তিনি প্রভাবশালী বিএনপি নেতা হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলছে না।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলম বলেন, ‘১৭ বছর বঞ্চিত থাকার পরেও নিজের জায়গার গাছ কাটতে অনুমতি নিতে হবে কেন? তিনি দাবি করে আশেপাশের ১০ কানি জমি তার লীজ নেওয়া। এছাড়া সেখানে তার মালিকানাধীন আরো জমি রয়েছে। তবে বন বিভাগ ইদ্রিসের এ দাবি মানতে নারাজ। সন্দ্বীপ উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘কেউ যদি বন বিভাগের সৃজিত বাগানের কোনো অংশ নিজের সম্পত্তি বলে দাবি করে।

তাকে প্রথমে লিখিত আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর জমি জরিপ করে প্রক্রিয়া অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। অনুমতি ছাড়া বন বিভাগের গাছ কাটলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী দণ্ড দেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকলেও গাছ কাটা যাবে না। যাচাই-বাছাই শেষে মালিকানা প্রমাণ হলে তবেই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।’


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা আমার দেশকে জানান, বন বিভাগের তদন্তে ঘটনাটি প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ।

সীতাকুণ্ডে মাইকে ঘোষণা দিয়ে জামায়াত নেতাদের ধাওয়া করলেন গ্রামবাসী

সীতাকুণ্ডে মাইকে ঘোষণা দিয়ে জামায়াত নেতাদের ধাওয়া করলেন গ্রামবাসী


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জামায়াত নেতাদের ধাওয়া করলেন। জনরোষের শিকার হওয়া নেতারা হলেন কুমিরা ইউনিয়ন জামায়াত নেতা জসিম উদ্দিন ও পৌরসভা জামায়াত নেতা কমিশনার রেহান উদ্দিন।

পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামে সমুদ্র উপকূলে আওয়ামী লীগ নেতা ও পলাতক আমি-ডামি নির্বাচনের সাবেক এমপি এস এম আল মামুনের চাচাতো ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর হোসেনের ক্রয় করা ১০০ একর কৃষি জমি সাগর থেকে বালু উত্তোলন করে ভরাট করতে গিয়ে গ্রামবাসীর রোষানলে পড়েছেন জামায়াত নেতারা। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রায় চার পাঁচশত গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে জামায়াত নেতাদের ধাওয়া দিলে জামায়াত নেতা জসিম উদ্দিন ও কমিশনার রেহান উদ্দিনসহ অন্য জামায়াত নেতারাও পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় কয়েকজন জামায়াত নেতা আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। তবে এ ঘটনার দায় নিতে নারাজ জেলা জামায়াতে ইসলামী।


সোমবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত নেতা জসিম উদ্দিন ও কমিশনার রেহান উদ্দিনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক সৈয়দপুরের সমুদ্র উপকূলে কৃষি জমি ভরাটে যান। সেখানে প্রায় ১০০ একর কৃষি জমি ভরাটের কাজ শুরু করতে চেয়েছিলেন তারা। তবে পরে স্থানীয় কৃষকদের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন জামায়াত নেতারা। পালানোর সময় কয়েকজন জামায়াত নেতা আহত হয়েছে। কৃষকরা এলাকার মসজিদে গিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কুমিরা ইউনিয়ন জামায়াত নেতা জসিম উদ্দিন ও পৌর জামায়াত রেহান উদ্দিন গেল বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা, আকিলপুর, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড এলাকায় শত শত ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করছেন। তাদের কাছে ড্রেজার থাকায় সমঝোতার মাধ্যমে সোমবার প্যাসিফিক জিন্সের মালিক ও এসএম আল মামুনের চাচাতো ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী সৈয়দপুরের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামে পাঠান। এদিন দুপুরে আড়াইটায় তারা ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে উৎপাদিত ফসলের জমিতে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন জামায়াত নেতা রেহান উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন। পরে সমুদ্র থেকে তোলার বালুর পাইপ লাগানোর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকরা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় তারা স্থাপিত বালুর পাইপ ফেলে দেয় এবং জামায়াত নেতা জসিম উদ্দিন ও রেহান উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তারা প্যাসিফিক জিন্সের মালিকের হয়ে বালু ভরাট শুরু করেছেন বলে জানান। পরে কৃষকরা জানিয়ে দেন ফসল থাকা অবস্থায় কোনো বালু ভরাট করা যাবে না। বালু ভরাট করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন দেখাতে হবে এবং তিন মাস আগে স্থানীয়দের জানাতে হবে। কোটি কোটি টাকার উৎপাদিত ফসল মাড়িয়ে বালু ভরাট চলবে না। একপর্যায়ে তারা বাড়াবাড়ি করলে স্থানীয়রা দুই জামায়াত নেতা জসিম ও রেহান উদ্দিনকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণধোলাই দেন। পরে তারা কোনোমতে জনরোষ থেকে বেঁচে পালান।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সাবেক আমি-ডামি নির্বাচনের এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুনের চাচাতো ভাই প্যাসিফিক জিন্সের এমডি আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মো. তানভীর কয়েক বছর আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পলাতক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের ১০০ একর কৃষি জমি ক্রয় করে নেন। ওই সময় স্থানীয়দের জিম্মি সরকারি প্রকল্পের কথা বলে জমিগুলো কৌশলে ক্রয় করে নেয়া হয়। সে সময় তাজুল ইসলাম নিজামী জমির দালালি করে বিপুল অর্থের মালিক বনে যান। স্থানীয়দের আপত্তির মুখে সে সময় ভরাট করতে না পারলেও সম্প্রতি আবারও ভরাট করতে মরিয়া হয়ে ওঠে প্যাসিফিক জিন্স। তারেই অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে দুই জামায়াত নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয় সৈয়দপুরে। সেখানে গিয়ে তারা কয়েকটি ড্রেজার সাগর পথে নিয়ে রাখেন সৈয়দপুর পয়েন্টে। কিন্তু পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড শুরু করলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পালিয়ে যান।

জানতে চাইলে ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. মামুন জানান, আমাদের জানা মতে, তাজুল ইসলাম নিজামী জমিগুলো কিনতে প্যাসিফিক জিন্সকে সহযোগিতা করেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তারা ভরাট করতে পারছিল না। আজ তারা ভরাট করতে এলে এলাকাবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাড়িয়েছে। আমাদের দাবি কোনো কৃষি জমি ভরাট করা যাবে না। এতে স্থানীয়দের জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

তিনি আরও বলেন, সব জমিতে ফসল ছিল। কোন জমিতে টমেটো, কোন জমিতে ফুলকপি, বরবটি, লাউ, শিম ইত্যাদি শীতকালীন সবজির এক রাজ্য সৈয়দপুর ইউনিয়ন। এখানকার কয়েকশত একর জমিতে সবজি চাষ হয়। পুরো এলাকায় আড়াইশোর বেশি কৃষক রয়েছে। এভাবে সবার উৎপাদিত সবজি যা সারা দেশের মানুষের রিজিক ধ্বংস করে বালু ভরাটের উদ্যোগ জাহেলিয়াতকেও হার মানায়।

সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোহসেন আলী জানান, সোমবার দুপুরে জামায়াত নেতা জসিম ও রেহান উদ্দিন এলাকার কৃষি জমি ভরাটের জন্য সাগর থেকে বালু উত্তোলন করতে এলে আমাদের এলাকার মানুষ প্রতিরোধ করে। তিনি আরও বলেন, জামায়াত নেতা জসিমের সাথে কথা হলে তিনি আমাকে বলেন, আমি বিএনপির নেতাকর্মীদের বলতাম তারা যেন বাধা না দেয়। তারা নাকি কোম্পানির পক্ষ হয়ে কাজ করতেছে, সব দায়িত্ব নাকি তাদের। আমি বললাম আমাদের এলাকায় কোন বালু উত্তোলন ও কৃষি জমি ভরাট চলবে না। এটাই আমাদের সাফ কথা।

সৈয়দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আইনুল কামাল জানান, জমি ক্রয় করলেও প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই ২ মাস আগে কৃষকদের নোটিশ দিতে হবে। ফসলি জমিতে কীভাবে বালু ভরাট করে দেয় আমার বুঝে আসে না। এটি অমানবিক। ডিসির অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করতে হবে। তাছাড়া এতে আমাদের এলাকার বিরাট কৃষি জমি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

সৈয়দপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুর রহমান বলেন, শতাধিক একর ফসলি জমিতে শীতকালীন সবজি নষ্ট করে কোনোভাবেই বালু ভরাট করতে পারবে না। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কৃষি জমি ভরাটের অনুমতি ইউএনও, এসি ল্যান্ড কীভাবে দিলেন। উপজেলা জামায়াতের দায়িত্বশীলরা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, কৃষকের ফসলি জমি ভরাটের সাথে জামায়াতের কেউ জড়িত থাকলে তাদের চিহ্নিত করতে।


সীতাকুণ্ডের পরিবেশ কর্মী আরাফাত হোসেন জানান, কৃষি জমিতে শিল্পকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছ। অথচ পুরো উপজেলায় হাজার হাজার একর কৃষি জমি ধ্বংসের আয়োজন চলছে। এস আলম, ইনফিনিয়া, বসুন্ধরা এরা সীতাকুণ্ডকে শেষ করে দিয়েছে। এখন প্যাসিফিক শেষ প্যারেক ঠুকছে সীতাকুণ্ডের বুকে। এসব পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড উপজেলা প্রশাসন দেখেও চুপ। আগে ক্রয়কৃত জমিকে শিল্পে রূপ দিতে হবে। তাছাড়াও ঘনবসতিতে শিল্প করার অনুমতি আছে কিনা সরকারের তা নিশ্চিত করতে হবে। আগের মতোই গায়ের জোরে আওয়ামী স্টাইলে সব চলছে।

ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবদুর রহমান জানান, আমাদের এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ জনপদ। কৃষিতে সমৃদ্ধ একটি এলাকা৷ এখানে শিল্পকারখানা করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ও এসিল্যান্ড আশরাফুল আলমকে ম্যানেজ করে সেসময় কিছু জমি শিল্প শ্রেণিতে পরিবর্তন করিয়ে নেয় প্যাসিফিক গ্রুপ। বর্তমানেও প্রশাসন তাদের হয়ে কাজ করছে। জামায়াতের কেউ জড়িত থাকলে আমাদের সংগঠন ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আলাদ্দিন সিকদার জানান, আমাদের দলের নাম ভাঙিয়ে এগুলো করা হচ্ছে। দল কোনো ব্যবসা করে না। জামায়াত এসবের সাথে জড়িত নয়।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মুজিবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, কৃষকের শীতকালীন সবজির ওপর বালু ঢেলে ভরাটের চেষ্টা করলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসী তাদের প্রতিরোধ করেছে বলে আমি শুনেছি। তবে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এখনো কেউ থানায় মামলা করতে আসে নাই।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, সমুদ্র থেকে বালু উত্তোলন করে কৃষি জমি ভরাটের কোনো অনুমোদন আমরা দিই নাই। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ।

লটারিতে চূড়ান্ত হলো ৬৪ জেলার এসপি

লটারিতে চূড়ান্ত হলো ৬৪ জেলার এসপি


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য ৬৪ জেলায় লটারির মাধ্যমে পুলিশ সুপার (এসপি) নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬৪ জেলার বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী এসপিকে ভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৬৪ জেলার এসপিদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে উঠিয়ে নতুন ১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাকি ৪৯ জনকে বর্তমান জেলায় না রেখে অন্য জেলায় দায়িত্ব দেওয়া হবে। এজন্য সোমবার প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই ৬৪ এসপির মনোনয়ন দেওয়া হয়।   

এ বিষয়ে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির তদারকিতে গঠিত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটি এ বৈঠকটি করে। এ কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এ কমিটির সদস্যসচিব।

এই কমিটি জেলা পুলিশের এসপি, ডিআইজি ও তার ওপরের পদে নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

সূত্র আরও জানায়, গত শনিবার বিকেল ৪টায় সভাটি হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকটিতে নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কারা হতে পারেন এসপি তাদের তালিকা ধরে আলোচনা করা হয় বলে জানা গেছে। অবশেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে লটারি হয়েছে বলে জানা গেছে।

আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, এবার লটারির মাধ্যমে এসপি নিয়োগ দেওয়া হবে।

সূত্র মতে, ৬৪টি জেলাকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ২৭টি, বি ক্যাটাগরিতে ২৮ ও ৯টি জেলাকে সি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। বর্তমানে যে ৬৪ জন এসপি দায়িত্বে রয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে ১৫ জনকে বাদ দিয়ে নতুন যে ১৫ জন নিয়োগ পাবেন তাদের নিয়ে লটারি করা হয়। লটারিতেই নির্ধারিত হয় কে কোন জেলার এসপি হবেন। এই এসপিরাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।

Monday, November 24, 2025

জামায়াতের কাছে ২০০ আসন চান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই)

জামায়াতের কাছে ২০০ আসন চান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই)


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ কওমি মাদ্রাসা ঘরানা ও তাবলিগের বড় অংশের সমর্থন নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে নির্বাচনী সমঝোতায় থাকা আট দলীয় প্ল্যাটফর্মে সংখ্যাগতভাবে বড় দল জামায়াতে ইসলামী। অতীতে দলটি থেকে একাধিক সংসদ সদস্য নির্বাচিতও হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, তারা সমানভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তাঁর ভাষায়, আমাদের লক্ষ্য হলো জামায়াতের সমানসংখ্যক আসনে প্রার্থী দেওয়া। যদিও শেষপর্যন্ত সংখ্যা বাড়তে–কমতে পারে। ৩০০ আসনের জন্যই আমাদের প্রস্তুতি আছে, এর মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে আমরা নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী মনে করি।

তিনি আরও বলেন, সবকিছুই শেষ পর্যন্ত সমঝোতার ওপর নির্ভর করবে। ছোট-বড় দলের হিসাবের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রার্থী নিজ এলাকায় কতটা গ্রহণযোগ্য।

অন্যদিকে জামায়াতের কয়েকটি সূত্র বলছে, তারা ২০০–রও বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী এবং সারাদেশে নিজেদের সংগঠনকে শক্ত অবস্থানে দেখছে। এবারের নির্বাচনে তারা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল’ গঠনের কথাও জানিয়েছে।

গত অক্টোবর খুলনার এক সমাবেশে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছিলেন, সমঝোতার কারণে প্রয়োজন হলে কিছু আসন ছাড় দিতে হতে পারে, কিন্তু অন্তত ২০০ আসনে আমরা প্রার্থী দেব।

জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণ শাখার শুরা সদস্যদের একজন জানান, তাদের লক্ষ্য হলো যৌথভাবে সর্বোচ্চ ত্যাগ করে হলেও শক্ত অবস্থানের জায়গাগুলোতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা।

তাঁর মতে, সমঝোতা ধরে ২৩৩–২৪০ আসনের মতো জায়গা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শেষে হয়তো ২০০ আসনেই দাঁড়াবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ জানান, তাদের প্রায় ১৫০ আসনে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কত আসন পাবো। যেখানে যার প্রার্থী দেওয়া হবে, আট দলের কর্মীরাই একসঙ্গে কাজ করবে।

তিনি আরও জানান, দলের অভ্যন্তরে প্রার্থী নির্বাচন প্রায় শেষ হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে জোটগত আলোচনার ওপর।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, তারা সর্বোচ্চ সমঝোতার ভিত্তিতেই প্রার্থী দেবেন।

তাঁর বক্তব্য, ডিসেম্বরের শুরুতেই আমরা যৌথভাবে প্রার্থী ঘোষণা করতে চাই। আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন আসনে জয়ের মতো জনসমর্থন ও সক্ষমতা আছে।

তিনি বলেন, যে দল থেকেই প্রার্থী দেওয়া হোক না কেন, আমাদের সংগঠন মাঠে সেই প্রার্থীকে জেতানোর জন্য কাজ করবে। প্রয়োজনে নির্বাচনী ব্যয়ও ভাগাভাগি করবে।


সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর 

Sunday, November 23, 2025

তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত

তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত

 

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। দেশে এসে কোথায় উঠবেন এবং কোথায় অফিস করবেন তাও প্রায় চূড়ান্ত। তার ফেরা নিয়ে দলীয়ভাবে বিএনপি সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের একটি প্রতিনিধিদল। যদিও কৌশলগত কারণে তারেক রহমানের ফেরার সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ প্রকাশ করা হচ্ছে না। 
তারেক রহমান নিজেও এখন পর্যন্ত দিন-তারিখ সম্পর্কে কোনো সবুজ সংকেত দেননি।  রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তিনি হয়তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। একাধিক সূত্র অবশ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিজয় দিবস সামনে রেখেই তিনি দেশে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে পারেন।
তিনি দেশে এলে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হবে, সেটিও মাথায় রেখে নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তার দেশে ফেরার আয়োজন নিয়েও এখন থেকেই ভাবা হচ্ছে। যদিও ওইদিন বড় জনসমাগম করা হবে কিনা তা তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি’র দু’জন শীর্ষ নেতা জনতার চোখকে বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তফসিল ঘোষণার আগে অথবা তফসিলের পরপরই ফিরবেন কিনা এ নিয়ে দলের ভেতরেই আলোচনা চলছে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জনতার চোখকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই জানেন, তিনি কবে দেশে ফিরবেন। তবে তার দেশে ফেরার বিষয়ে আমরা সবসময়ই প্রস্তুত রয়েছি।
ওদিকে দেশে ফিরে তারেক রহমান গুলশান-২ এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন বলে বিএনপি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র  জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের থাকার জন্য বাড়িটি উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। করা হচ্ছে সাজসজ্জা। লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। বাড়ির নিরাপত্তায় রয়েছেন সিএসএফ। এ ছাড়া দেশে ফিরে তারেক রহমান  ধানমণ্ডির ৫ নম্বর সড়কের ‘মাহবুব ভবন’-এ  উঠতে পারেন বলেও দলের ভেতরে আলোচনা রয়েছে। তারেক রহমানের শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল এডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসভবন এটি।
সমপ্রতি অন্তর্বর্তী সরকার গুলশান-২ এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়ির নামজারি সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র বেগম খালেদা জিয়ার হাতে হস্তান্তর করেছে। এই বাড়ির পাশেই ‘ফিরোজা’য় থাকেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি বৃটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ-এর কাছে ভাড়া দেয়া ছিল। ১৯৮১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর তৎকালীন সরকার তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেন। দেশে ফিরে তারেক রহমান এই বাড়িতে থাকতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রঃ দৈনিক মানবজমিন।

Saturday, November 22, 2025

নীলফামারী-০১ আসনে দাড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মোটর সাইকেল শো-ডাউন

নীলফামারী-০১ আসনে দাড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মোটর সাইকেল শো-ডাউন

 

মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজঃ  নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সমর্থনে স্মরনকালের বৃহত্তম শো-ডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক মোটর সাইকেলের বিশাল বহর ডিমলা ইসলামিয়া কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে ডিমলা শহর প্রদক্ষিন করে, নাউতারা, ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী শঠিবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, ঠাকুরগঞ্জ হয়ে ডোমার উপজেলা সদর প্রদক্ষিন করে আবার ডিমলায় এসে শেষ হয়। মোটর শোভাযাত্রার পুরোভাগে জেলা জামায়াতের আমীর ও নীলফামারী-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুস সাত্তার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নীলফামারী জেলা সেক্রেটারি মু. রেজাউল করিম উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দান করেন। এ সময় ডিমলা উপজেলা আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, উপজেলা সেক্রেটারি রোকনুজ্জামান বকুল,ডোমার উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দিল হাকিম সহ দুই উপজেলার জামায়াত নেতৃবৃন্দ তাদের সাথে ছিলেন।

শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া খালিশা চাপানী ইউনিয়নের জামায়াত কর্মী মোশাররফ হোসেন জানান, মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনের জন্য সংগঠন তাদেরকে কোনো জ্বালানী খরচ দেয় নাই, কর্মীগন স্বতস্ফুর্তভাবে নিজের টাকা খরচ করে উৎসাহের সাথে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেছে। ডোমার সোনারায় ইউনিয়নের কর্মী মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের ইউনিয়ন থেকে দুইশ মোটর সাইকেল নিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেছি। টাকা পয়সা ছাড়াই এতো কষ্ট করে এই শোভাযাত্রায় কেনো অংশ নিয়েছেন - প্রশ্নের জবাবে মোটর সাইকেলের পেছনে বসে থাকা তার বয়োবৃদ্ধ বাবা বলেন- একজন সৎ মানুষকে নির্বাচন করতে আমাদের আরও বেশী ত্যাগ স্বীকার করা উচিত।

শোভাযাত্রার পুরোটা সময় জুড়ে অংশগ্রহনকারিদের ব্যাপক উচ্ছ্বসিত ও থেমে থেমে 'দাঁড়িপাল্লা' শ্লোগানে মুখরিত হতে দেখা গেছে।

Friday, November 21, 2025

জলঢাকায় সনাতন ধর্মালম্বীদের নিয়ে জামায়াতের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জলঢাকায় সনাতন ধর্মালম্বীদের নিয়ে জামায়াতের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজঃ  নীলফামারীর জলঢাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে নির্বাচনী সমাবেশ করলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখা। উপজেলা জামায়াতের আমীর মোখলেছুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোয়াম্মার আল হাসান এর সঞ্চালনায় জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রায় দুই সহস্রাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী এই সমাবেশে অংশগ্রহন করেন। সমাবেশে ১০ জন হিন্দু নেতা বক্তব্য প্রদান করেন। হিন্দু নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, এতদিন হিন্দুদেরকে একটি বিশেষ দলের দিকে ঠেলে দিয়ে পক্ষ বানিয়ে রাখা হয়েছিলো। হিন্দুরা যে কারো হাতের পুতুল কিংবা পকেটের ভোট নয় তা এই সমাবেশে উপস্থিতিই প্রমান করে দিয়েছে। তারা বলেন, জামায়াতও এতদিন হিন্দুদেরকে কাছে টানার পরিবর্তে  দূরে রাখার নীতি অবলম্বন করেছিলো। তারা সকলে এই মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানান।

হিন্দু নেতা রামানুষ রায় বলেন, বিগত সরকারের আমলেও হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন করা হয়েছে।  সারাদেশে মুসলমানদের জন্যে অনেক মডেল মসজিদ নির্মান করা হলেও হিন্দুদের জন্যে কোনো মডেল মন্দির নির্মান করা হয় নাই। তিনি বলেন, হিন্দুরা বিভিন্ন সময় সাইবার বুলিং ও ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। হিন্দু যুবকের নামে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে অসত্য তথ্য ছড়িয়ে হিন্দুদেরকে জব্দ করা হয়। তিনি বিপদে আপদে সবসময় হিন্দুদের পাশে থাকতে জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে প্রধান অতিথি  নীলফামারী- ৩ (জলঢাকা) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াত সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যে সমাজ ও রাষ্ট্রে ধর্মীয় পরিচয়ে কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না। তিনি বলেন, তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হলে তিনি হিন্দুদের সকল সমস্যা সমাধানে তাদের পাশে থাকবেন।  

সমাবেশে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান জুয়েল, কর্ম পরিষদ সদস্য সাদের হোসেন সহ উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।