সর্বশেষ

Tuesday, December 16, 2025

ভোলায় চেয়ারে বসা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ২০  ভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় চেয়ারে বসা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ২০ ভোলা প্রতিনিধি

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের ২০ জন আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলা স্টেডিয়ামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জামায়াতে ইসলামীর ১৫ জন ও বিএনপির সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় দৌলতখান স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পূর্বেই বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদদের পরিবার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে আলাদাভাবে সবার জন্য আসন নির্ধারিত ছিল।


অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করেন জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলা শাখার আমির ও সেক্রেটারি। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে আসনে জামায়াতের নেতাদের দেখে ‘রাজাকার বলে’ নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলার সেক্রেটারি মো. আশরাফ উদ্দিন ফারুক বলেন, উপজেলা প্রশাসন আমাদেরকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছিল। দাওয়াত পেয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই। সেখানে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বিএনপির চারজন ও জামায়াতে ইসলামীর দুজন নেতার জন্য চেয়ার সংরক্ষিত ছিল। 


তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমরা আমাদের আসন গ্রহণ করি। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে দৌলতখান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল ও দৌলতখান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলামসহ বিএনপি ও যুবদলের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।


তাদের হামলায় আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ পুরোপুরি নির্বিকার ছিল। এ ছাড়া তারা চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা বাংলাদেশ চায়নি। তারা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তাই তাদের কিছুটা সেক্রিফাইস মন-মানসিকতা থাকা দরকার ছিল। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়িতে আমাদের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। 

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসার আসনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সূত্রঃ দৈনিক কালের কণ্ঠ।

জলঢাকায় আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চোরের দৌরাত্ম, জনমনে আতঙ্ক

জলঢাকায় আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চোরের দৌরাত্ম, জনমনে আতঙ্ক

 

মাহমুদ আল-হাছান, তিস্তা নিউজঃ নীলফামারীর জলঢাকায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক ভাবে। পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় প্রতিদিন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। মাঝখানে কিছুদিন চোরদের এই তৎপরতা কিছুটা কমে এলেও আবার তা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে থানায় অভিযোগ করা হলেও অভিয়োগের বাইরেও অনেক চুরির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।

গতকাল (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বালাগ্রাম ইউনিয়নের পুর্ব বালাগ্রাম চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হাই চেয়ারম্যানের ভাতিজা সুমন নেওয়াজ হাফিজের ৫টি গরু তার গোয়ালঘরের তালা কেটে চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র। সুমন জানান, তিনি গতরাতে খাওয়া দাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়লে রাতের কোনো একসময়ে তার গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে পাঁচটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। এ বিষয়ে তিনি জলঢাকা থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

এছাড়া গত ১৩ ডিসেম্বর জলঢাকা আইডিয়াল কলেজপাড়ার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক রিংকু পেট্রল পাম্প সংলগ্ন মসজিদের সামনে তার ১২৫ সিসি মোটর সাইকেলটি রেখে মসজিদে নামাজের জন্য ঢুকলে তার মোটর সাইকেলটিও চুরি হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেলেও এখনও মোটর সাইকেলটি উদ্ধার কিংবা চোর শনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই। কিছুদিন আগে একই জায়গা থেকে ১০০ গজ দক্ষিনে গরুহাটির সামনে থেকে অবিলের বাজার কিশোরগঞ্জের একজন দরীদ্র শ্রমিকের একটি অটোগাড়ী চুরি হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও পরে আর অটেগাড়ীটি উদ্ধার করা যায় নাই।

গত অক্টোবর মাসে আইডিয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক জনাব রশিদুল ইসলামের একটি ১৬০ সিসি মোটর সাইকেল তাঁর কলেজ সংলগ্ন বাসার গ্রিল কেটে চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও সে গাড়িটির আর কোনো হদিস পাওয়া যায় নি।

অব্যাহত চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারন মানুষ পুলিশ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ আশা করে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অহরহ চুরির ঘটনায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ নাজমুল আলম তিস্তা নিউজকে বলেন, গতকালকের চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি নিয়ে আমরা গুরুত্বের সাথে কাজ করছি। পুর্বের চুরির ঘটনায় চোর সিন্ডিকেটের একজন সদস্যকে আমরা ধরেছি এবং কোর্টের মাধ্যমে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করি অচিরেই চোর সিন্ডিকেটের মুলোৎপাটনে আমরা দৃশ্যমান সফলতা অর্জন করবো। তিনি জলঢাকার সাংবাদিক সমাজ ও সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

 বিজয় দিবস উপলক্ষে নীলফামারী জেলা ছাত্রশিবিরের বিশাল সাইকেল র‍্যালি

বিজয় দিবস উপলক্ষে নীলফামারী জেলা ছাত্রশিবিরের বিশাল সাইকেল র‍্যালি

 

বদিউজ্জামান জলঢাকা নীলফামারী ঃ নীলফামারীর জলঢাকায়, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৬: মহান বিজয় দিবসের ৫৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির নীলফামারী জেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রায় ২০০০ সাইকেলের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি জলঢাকা এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ০০ ঘটিকায় র‍্যালিটি ছিটমীরগঞ্জ শালনগ্রাম কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে এটি জলঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালি চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

র‍্যালিতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি তাজমুল হাসান সাগর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক জেলা সভাপতি মোহসিন আলি। পুরো আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন জেলা শাখার সেক্রেটারি রেজাউল করিম।

র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও পতাকা বহন করেন। “শিবিরের আরেক নাম—আদর্শের সংগ্রাম” স্লোগানে পুরো জলঢাকা শহর মুখরিত হয়ে ওঠে। স্লোগান ও শৃঙ্খলাপূর্ণ আয়োজন সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির গৌরবময় ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে ছাত্রসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা আরও বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে আদর্শিক ছাত্ররাজনীতি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে র‍্যালি শেষে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।

ওয়াজ মাহফিলে নিয়ন্ত্রণ চায় নির্বাচন কমিশন

ওয়াজ মাহফিলে নিয়ন্ত্রণ চায় নির্বাচন কমিশন


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ  ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া সব ধরনের ধর্মীয় প্রচার (ওয়াজ মাহফিল) আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণকে নিরবচ্ছিন্ন এবং এসব অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম সচিবকে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জানা গেছে।

সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ও বেসরকারি টেলিভিশনে সাধারণ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে নির্বাচনি প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে গতকাল পৃথক আরেকটি চিঠি দিয়েছে ইসি। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওয়াজ-মাহফিলের ওপর এই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা থাকবে। তবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসারের (আরও) সম্মতি নিয়ে এ ধরনের ধর্মীয় প্রচার আয়োজনে অসুবিধা নেই। এসব নির্দেশনা দিয়ে রোববার সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আমার দেশকে বলেন, ওয়াজ-মাহফিল নিয়ন্ত্রণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়নি। বরং বলা হয়েছেÑআপনারা এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নেবেন। রোববার আরওদের এ চিঠি দেওয়া হয়। ভোট ঘিরে যাতে কোনো পক্ষ রাজনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে; একইসঙ্গে ধর্মীয় প্রচারের এই মঞ্চে সংসদ নির্বাচনের কোনো প্রার্থী যেন ভোট না চান, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

ইসির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে নতুন করে ওয়াজ-মাহফিল আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। এছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ রাখার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে রিটার্নিং কর্মকর্তার লিখিত অনুমতিসাপেক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

ইসির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ইসলামি বক্তা মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী আমার দেশকে বলেন, শীত মৌসুমে দেশে ব্যাপকভাবে ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন করা হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন একটি মাহফিল সফলভাবে আয়োজনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। হঠাৎ করে সরকারের পক্ষ থেকে মাহফিলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে তা চরম বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।

তিনি আরো বলেন, বাস্তবতা হলো দেশের হাজারো ওয়াজ-মাহফিলে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি সত্ত্বেও কোথাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে না। বরং এসব মাহফিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সামাজিক সৌহার্দ্য এবং এ দেশের মানুষের শান্তিপ্রিয় চরিত্রের এক উজ্জ্বল প্রমাণ। ওয়াজ মাহফিলগুলোতে সাধারণত উন্নত চরিত্র গঠন, মাদক থেকে দূরে থাকা এবং অন্যায় ও গর্হিত কাজ পরিহারের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যা সমাজকে নৈতিকভাবে সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অতএব, এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়, যাতে এসব মাহফিল ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হয়রানির শিকার হয়। আমরা সরকারকে এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।


এদিকে, প্রচার-সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টকশো বা নির্বাচনি সংলাপ পরিবেশনের সময় রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ নিশ্চিত করা; রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫-এর বিধি ২৫ অনুযায়ী গণমাধ্যমে নির্বাচনি সংলাপ, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টিভি কর্তৃপক্ষ আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে পারবেন না। এসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।


সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ।

সমঝোতা দু-একদিনে  জামায়াতের শরিকদের দাবি ২২০ আসন

সমঝোতা দু-একদিনে জামায়াতের শরিকদের দাবি ২২০ আসন


তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ‘ইসলামি দলগুলোর সব ভোট এক বাক্সে’ আনার লক্ষ্যে আসন সমঝোতার জন্য কাজ করছে ৮ দল। সব আসনে একক প্রার্থী রাখতে চাইছে তারা। তবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সূত্র বলছে, লিয়াজোঁ কমিটি দু-একদিনের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করবে। পাঁচ দফার আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামার আগেই জামায়াত ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে ভোটের মাঠে অবস্থান নেয়। এখন শরিকরা ২২০ আসন চাইছে।ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান উদ্যোগ নেন সমমনা ইসলামি দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার। সেজন্য সর্বোচ্চ ছাড়ের মনোভাব দেখান তিনি। ১৬ মাসে ৮টি দল অনেক কাছাকাছি এসেছে। ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা একত্রে অভিন্ন প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের  বলেন, আমরা আসন সমঝোতার খুব কাছাকাছি আছি। আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে রাজি হয়ে আমাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি দল যোগ দিতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের সমমনা দলের সংখ্যা ৮ থেকে বেড়ে ১০ বা ১১ পর্যন্ত হতে পারে। সংখ্যার ভিত্তিতে শরিকদের সঙ্গে কোনো আসন ভাগাভাগি হবে না। ৮ দলের নেতারা সবাই একমত পোষণ করেছেন যে, যাকে যেখানে দিলে বিজয়ী হতে পারবেন তাকে সেখানে প্রার্থী করা হবে। আসন সমঝোতার ভিত্তিতে ইসলামপন্থিদের সব ভোট এক বাক্সে নিয়ে আসাটা প্রধান লক্ষ্য। সেটা নিয়ে কোনো জটিলতা হবে না বলে আমরা আশাবাদী।সবার আগে চলতি বছরের শুরুতে জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। তাদের শরিক অন্য দলের প্রার্থীরাও মাঠে আছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১২০টি আসনে প্রার্থী দিতে চায়-এমন তথ্য জানিয়েছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী। তবে দলের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান  বলেন, আমরা ৮ দল আসলে একদলের মতোই কাজ করছি। যাকে যেখানে দিলে বিজয় নিশ্চিত হবে তাকে সেখানে প্রার্থী করা হবে। তিনি যে দলেরই হোন।খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের  বলেন, ‘আমরা ৩০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই-এমনটিই জানিয়েছি। তবে সেটা আলোচনা সাপেক্ষে। আমি হবিগঞ্জ-৪ থেকে নির্বাচন করতে চাই।’ এই আসনে জামায়াত প্রার্থী পরিবর্তন করে সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহমেদ আব্দুল কাদের বলেন, আমি শুরু থেকেই বলছি, কোনো আসনই ৮ দল এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করেনি। 

খেলাফত আন্দোলন ২০টি আসনে প্রার্থী দিতে চায় বলে জানিয়েছেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী। সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিও কমপক্ষে ১০টি করে আসন দাবি করেছে। সব মিলিয়ে ৭ দলের দাবি প্রায় ২২০টি আসন। আরও ২-৩টি দল এই জোটে এলে তাদের জন্যও আসন ছাড়তে হবে জামায়াতকে। তখন জামায়াতে ইসলামীর কতটা আসন থাকবে সেটাই প্রশ্ন।

৮ দলের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কোন দল কত আসনে নির্বাচনে আগ্রহী বা বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সে তালিকা মাঠ জরিপের ভিত্তিতে প্রস্তুত করেছে নিজ নিজ দল। বৃহত্তর ইসলামি ঐক্যের স্বার্থে সব দলই সর্বোচ্চ ছাড়ের মানসিকতার কথা জানিয়েছে। ইসলামি দলগুলো সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে আসুক এটাই লক্ষ্য। ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের পাশ করিয়ে আনার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।


সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর।

Monday, December 15, 2025

২ শিক্ষকের তুমুল মারামারি, ভিডিও ভাইরাল

২ শিক্ষকের তুমুল মারামারি, ভিডিও ভাইরাল

তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ৮ ডিসেম্বর দুপুরে ওই বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষে মারামারির এ ঘটনা ঘটে।

৩৩ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন শিক্ষক আরেকজন শিক্ষক চেয়ারের সঙ্গে চেপে ধরে আছেন।

এসময় এক নারী শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, ‘আল্লাহ রহম করো, আল্লাহ রহম করো। জুনায়েদ সাহেব আপনারা এডি কাজ করতাছেন, আপনারা এডি কাজ করতাছেন? মারামারি করন লাগে দুজনে, কাইজ্জা করন লাগে?’

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চান্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জুনায়েদ ও সহকারী শিক্ষক মো. মহিউদ্দিনের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনাটি ঘটে। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হতো। গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ওই দুই শিক্ষকের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় মাহমুদুল হাসান জুনায়েদ অফিসে থাকা একটি বঁটি (ধারালো অস্ত্র) নিয়ে সহকারী শিক্ষক মো. মহিউদ্দিনের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষিকা ঝর্না আক্তার দ্রুত এগিয়ে গিয়ে জুনায়েদের কাছ থেকে বঁটিটি কেড়ে নেন। পরে দুই শিক্ষকের মধ্যে পুনরায় হাতাহাতি শুরু হয়।

হাতাহাতির একপর্যায় জুনায়েদ ধাক্কা দিয়ে চেয়ারে ফেলে মহিউদ্দিনের গলা চেপে ধরেন। এ সময় উপস্থিত সহকারী শিক্ষকদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এলে দুজনের মধ্যে মারামারি বন্ধ হয়।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জুনায়েদ বলেন, যেই ভিডিও ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে, সেটি ঘটনার শেষাংশ। প্রথম দিকে আমাকে তিনি দুইবার ধাক্কা দেন এবং দিয়ে চেয়ারে ফেলে দিয়ে আমার শার্টের কলার ধরেন। আমি আত্মরক্ষার জন্য তাকে ধাক্কা দিলে তিনিও চেয়ারে পড়ে যান।


আমি আত্মরক্ষার জন্য তার হাতে ও পায়ে হাত দিয়ে ধরে রাখি। তবে বঁটি দিয়ে আঘাতের চেষ্টার বিষয়টি মিথ্যা।

সহকারী শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন বলেন, জুনায়েদ সাহেব সবসময় জোরজবরদস্তি ও ক্ষমতা দেখান। কেউ তার কথা না শুনলেই রাগান্বিত হয়ে যান তিনি। এর আগেও তিনি আমাকে হাতুড়ি দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। সেদিন তিনি অফিস কক্ষে বসে আমাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন। আমি প্রতিবাদ করায় আমার ওপর চড়াও হন তিনি। পরে আমাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। হঠাৎ করেই তিনি অফিসে রান্নাবান্নার জন্য রাখা দা দিয়ে আমাকে মারতে তেড়ে আসেন। ঝর্না ম্যাডাম তার হাত থেকে দা কেড়ে নেন। পরে তিনি আমাকে চেয়ারে ফেলে আমার গলা চেপে ধরেন।


প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী শিক্ষিকা ঝর্না আক্তার বলেন, আমি সেসময় অফিস কক্ষে কাজ করছিলাম। জুনায়েদ স্যার নিজে নিজেই কথা বলছিলেন। একসময় মহিউদ্দিন স্যার কথার জবাব দিলে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে ঝগড়া লেগে যায়। এর পর জুনায়েদ সাহেব অফিসের বঁটি-দা হাতে নিলে আমি তা কেড়ে নিই। এর পরেও দুজনের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়।


ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাইলী আক্তার জানান, গত ৮ ডিসেম্বর অফিসকক্ষে দুই শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেছেন। পরে সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান আমাদের স্কুল পরিদর্শন করেন। তিনি ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে গেছেন। বাকিটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন বলেও জানান তিনি।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা পারভীন জানান, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠাই। এ ঘটনায় রিপোর্ট তৈরি করে আমরা জেলায় পাঠিয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিস এ ঘটনার ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

এক কলেজ থেকে মেডিকেলে চান্স পেলেন ৪৫ শিক্ষার্থী  Copied from: https://rtvonline.com/

এক কলেজ থেকে মেডিকেলে চান্স পেলেন ৪৫ শিক্ষার্থী Copied from: https://rtvonline.com/


মাহমুদ আল হাছান তিস্তা নিউজ ঃ বিগত বছরগুলোতে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে বাজিমাৎ করে আসছিল সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা, তেমনি এবারও বাজিমাৎ করেছে চলছি বছরের শিক্ষার্থীরা। এই কলেজ থেকে এবারও মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৪৫ জন শিক্ষার্থী। 
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা যায়।

সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৪৫ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ছেলে ১৩ জন ও মেয়ে ৩২ জন।
কলেজটি থেকে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শুধু মেডিকেল কলেজ, রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। রেকর্ড পরিমাণ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।

সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতি বছর আশানুরূপ ফলাফল করছে শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতি বছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এবার ৪৫ জন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, তবে সবার তথ্য পেলে আর দু’একজন বাড়তে পারে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম আগে ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।