দেশের উত্তরাঞ্চলে সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ কমান্ড এলাকার সেচ সক্ষমতা বাড়াতে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ২০২৭ সালের জানুয়ারি থেকে কমান্ড এলাকার কৃষকরা এক লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ পাবেন।
পাশাপাশি যে সকল এলাকায় সেচ খালের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে, আগামীকার বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সে সকল এলাকার ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে চলতি বোরো মৌসুমে সেচ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।
বাপাউবো সূত্র মতে, সেচ প্রকল্পের খাল নীলফামারীর ডালিয়াস্থ তিস্তা ব্যারাজ থেকে শুরু হয়ে রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ১২টি উপজেলায় বিস্তৃত। মোট সেচ খালের দৈর্ঘ্য ৭৬৬ কিলোমিটার। উত্তরাঞ্চল খরাপিড়িত এলাকা হওয়ায় তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৭ সালে তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তবে এর মূল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ১৯৫৩ সালে। ১৯৫৭ সালে নির্মাণ কাজ শুরু পরিকল্পনা থাকলে রাজনৈতিক অস্থিতিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীগণ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি এবং জনবল দ্বারা নতুন জরিপ ও বিস্তারিত পরিকল্পনা ও ডিজাইন প্রণয়ন করে মডেল স্টাডির ভিত্তিতে তিস্তা ব্যারাজের বর্তমান স্থান নির্ধারণ করেন।