৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে বাংলাদেশে ইসলামী দলগুলোর গুরুত্ব বেড়ে চলছে।এরমধ্যে রাজনীতিতে একটা অভ্যুতপুর্ব ঘটনা ঘটে গেছে ।ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্ব পাওয়া শুরু করেছে বলে মনে হচ্ছে।এর জন্য জামায়াতের আমীরকে আমি বিশেষ কৃতিত্ব দিব
আমীরে জামায়াত চরমোনাই পীরের সাথে গত মঙ্গলবার সৌজন্যে সাক্ষাৎ এরপরেই রাজনীতির মাঠে এই হাওয়া বইতে শুরু করছে।
২০২২ সালের পর থেকে ইসলামী দলগুলোকে এড়িয়ে চলা বিএনপির এখন টনক নড়েছে ,
জামায়াতের আমীরের সাথে চরমোনাই পীর সাহেব এর সাক্ষাৎ এরপর বিএনপি হঠাৎ করেই খেলাফত আন্দোলনের সাথে মিটিং করেছে ।
আজকে চরমোনাই অফিসে বিএনপির মহাসচিব উপস্থিত হয়ে চরমোনাই আমিরের সাথে মিটিং করে ১০ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে জানা গেছে। বিএনপি এই মিটিং গুলো তাদের বাম ঘরানার নেতাদের উপেক্ষা করেই করেছেন বলে ধারণা করা যায়।কারন ইসলামী রাজনীতিকে ধর্মব্যবসা, চরমোনাইকে আওয়ামী লীগের দোসর জামায়াতকে রাজাকার গালাগাল দেয়া বিএনপির একটা অংশের অব্যাহত থাকার মাঝেই এগুলো দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হচ্ছে । ইসলামী দলগুলোর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাধ্যমে বিএনপির বামধারা কিছুটা ব্যাকফুটে যাবে, ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দেওয়া থেকেও তারা বিরত থাকবে। দলীয় এবং ভোটের প্রয়োজনেই তারা সেটা করতে বাধ্য হবে, এটি আসলে ইসলামপন্থী রাজনীতির নগদ লাভ ।
তবে ইসলামী দলগুলোর এই নগদ লাভের সাথে সাথে ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে তাদের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি নির্বাচনী জোট নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবা দরকার।
চরমোনাই জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎই যদি ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্ব এভাবে বৃদ্ধি পায়, সেক্ষেত্রে যদি সত্যিই ইসলামী দল গুলো ছোটখাটো মতপার্থক্য ভুলে রাজনৈতিক বা নির্বাচনী জোট করতে পারে তাহলে, আগামী সংসদে জামায়াতের সাথে ইসলামী দলগুলো সংসদে ভাল সংখ্যায় আসন নিয়ে ভুমিকা রাখতে পারবে বলেই আমার ধারনা
এর মাধ্যমে তারা সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবে এবং এর সাথে ছাত্রদের নতুন দলকে যদি এই বিরোধী জোটে নিতে পারে তাহলে বিএনপির এককভাবে সরকার গঠনকেই চ্যালেঞ্জ করতে পারবে বলেই আমার ধারনা।