Monday, January 6, 2025

জলঢাকায় রঞ্জিত সাধু কথা বলেন না,খান না ভাত

 



                         রঞ্জিত সাধু

মাহমুদ আল হাসান (নীলফামারী) : রঞ্জিত সাধুর বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার হরিশচন্দ্র পাঠের  দেওনাই নদীর তীরে। একসময় কৃষিকাজের পাশাপাশি মনের টানে ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থান দেখতে যান তিনি। ২০২০ সালের শুরুর দিকে ভারতে সর্বতীর্থ শেষ করে মৌনব্রতের সিদ্ধান্ত নেন রঞ্জিত। দেশে ফিরে বাড়ির পাশের বালু চরে মৌনব্রতে বসেন। মনোবাসনা পূরণ করতে কথা বলাও বন্ধ করে দেন তিনি। নির্জন নদীর ধারে শিব ও মহাদেবের পূজা অর্চনায় ব্যস্ত সময় পার করলেও ভাবের আদান প্রদান করেন কাগজে লিখে।

মৌনব্রতে বসার শুরুর দিকে আতপ চালের ভাত খেলেও এখন ভাতের পরিবর্তে খাচ্ছেন কলা, ভুট্টার গুঁড়া, চালের গুঁড়া, ফলমূল আর শাকসবজি। বসবাসের জন্য মাটির নিচে প্রায় ১০ ফুট মাটির নিচে গোলাকার কৃত্রিম গুহা তৈরি করেন রঞ্জিত। গোলাকার গুহার সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের চাটাই। ওঠানামার জন্য ব্যবহার করেন বাঁশের সিঁড়ি। সেখানে রেখেছেন বিভিন্ন ধর্মীয় পুস্তক, শুকনো খাবার আর ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসপত্র।

রঞ্জিত সাধু  জানান, সংসার হলো কামনা-বাসনা। ১২ বছর পার হলেও আমি আর সংসারে ফিরে যাবো না। এখানে আমি জীবন শেষ করতে চাই। আমাকে যেন সংসারে ফিরিয়ে না নেওয়া হয়।


শেয়ার করুন