শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে হত্যাকাণ্ডের পর হামলাকারী ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় আত্মহত্যা করে এবং এসময় একজন নিরাপত্তা রক্ষীও আহত হয়েছে।
এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়, তবে অতীতে উভয় বিচারক ইসলামিক সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের দমন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
রাজিনি এবং মঘিসেহকে "হ্যাঙিং জাজ" হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালের রাজনৈতিক বন্দীদের গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।
আলী রাজিনি ১৯৫৩ সালে হেমেদান প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ১৯৮০ সালে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
তিনি বিভিন্ন উচ্চপদস্থ বিচারিক পদে কাজ করেছেন, যেমন বিশেষ ধর্মীয় আদালতের প্রধান বিচারক এবং তেহরানের বিচার বিভাগের প্রধান। রাজিনি ১৯৯৮ সালে একটি হত্যাচেষ্টায় বেঁচে গিয়েছিলেন।
মোহাম্মদ মঘিসেহ ১৯৫৬ সালে সাবজেভারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হন। তিনি রাজনৈতিক বিচারের ক্ষেত্রে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছেন।
এই ঘটনা ইরানের বিচার ব্যবস্থার উপর একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ রাজিনি ও মঘিসেহ দীর্ঘকাল ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর দণ্ড প্রদান করে আসছিলেন।