শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় শিক্ষক দিবস ও শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেউ যদি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় অবশ্যই বিএনপি তাকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেয় তা হবে হতাশাজনক। অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ ঝগড়াসূলভ বা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হবে। তরুণরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই সামনে নেতৃত্ব দেবে। তবে তা যেন কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে না হয়।”
সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোরই পক্ষে। তবে সংস্কার না নির্বাচন এ নিয়ে কেউ কেউ কূটতর্ক শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের সঙ্গে আমাদের দেয়া ৩১ দফার দুই-একটি ছাড়া সবই মিল রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের চাইতে সংসার পরিচালনা করা বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে নিন্মবিত্তের সংসার টেকানো দায় হয়ে গেছে। বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে জনগণকে মুক্ত করা সম্ভব এই সরকারের কাছে। কিন্তু জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য কমাতে পারছে না বর্তমান সরকার। তাদের প্রশ্ন সরকারের কেউ কেউ অন্য ইস্যুতে বেশি মনোযোগী, নাকি সরকার পারছে না?”
জাতীয় শিক্ষক দিবস ও সম্মেলন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মচারীরা।