দলটির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বনির্ভর অর্থনীতি ও সুশাসনে সমৃদ্ধি’। এ ছাড়া আমজনতার দলের তিনটি মূলনীতি।
এগুলো হচ্ছে সার্বভৌমত্ব, স্বনির্ভর ও সুশাসন।
মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গণ অধিকার পরিষদ তার নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে আমজনতা দল নামে পরিচিত হবে। এই পরিবর্তন আমাদের আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের সাংগঠনিক রূপান্তরের প্রতীক এবং জনগণের সঙ্গে আরো সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন প্রয়াস।’
পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যায় আমজনতা দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘গণ অধিকার পরিষদ বেশ কিছু নৈতিক ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নের দুই ভাগে বিভক্ত হয় ২০২৩ সালের ২০ জুন।
কাছাকাছি দুই দলের একই নাম হওয়ায় আমাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, আজ থেকে আমার মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের অংশের নাম ‘আমজনতার দল’ নামে পরিচিত হবে।
মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের দলের ৭ সহযোদ্ধা জীবন দান করেছেন, শতাধিক আহত হয়েছেন। আমাদের দলটি অতীতে যেমন ছাত্র, যুবক, প্রবাসী, পেশাজীবী এবং পেশাজীবী নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করছ, ভবিষ্যতেও একইভাবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন রেজা কিবরিয়া। এক পর্যায়ে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের নেতৃত্বে দলটির একাংশ এবং মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে অপরাংশ গঠিত হয়।
নুরুল হক নূর ও মিয়া মশিউজ্জামানের দুই গণ অধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে যুগপৎভাবে বিএনপির সাথে আন্দোলন করে।
নূরের গণ অধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনও পেয়েছে।
সূত্র ঃ দৈনিক কালেরকণ্ঠ।