স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম অনেক মানুষের কাছ থেকে নাম খারিজ ও ভূমিহীনদের ভূমি বন্দোবস্তের কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ঘুষের টাকা না দিলে তিনি অযথা হয়রানি করেন। প্রকাশ্যেই বলতেন, ঘুষের টাকা না দিলে কাজ করব না।
খগা খড়িবাড়ীর এলাকার আলিজার রহমান লেলিন ও বালাপাড়া গ্রামের হাসানুর রহমান জমির নাম খারিজ করতে গেলে ভূমি কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা নেন। পরে খবর নিয়ে জানতে পারেন, নাম খারিজের জন্য সরকারি ফি মাত্র ১১৭০ টাকা। কেন বেশি টাকা নেওয়া হলো– ওই কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি খারাপ ব্যবহার ও হুমকি-ধমকি দেন। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতাদের জানালে তারা অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাড়া পান ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। কিছুক্ষণ পর এলাকায় মাইকিং করে ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা অপসারণের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাঁকে হেয় করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে কেউ টাকা পান, এমন প্রমাণ দিলে ফেরত দেবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তহিদুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি করা হবে। প্রমাণ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।