Sunday, January 26, 2025

জলঢাকায় প্রতিবেশীকে মারধর,বাড়িতে হামলা ভাংচুর করার অভিযোগ



বদিউজ্জামান জলঢাকা ঃ 

নীলফামারীর জলঢাকার এসিল্যান্ড গাড়ি চালক মানিক ও ইউএনও'র গাড়িচালক আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে  প্রতিবেশী বাবুলের পরিবারের ৫জনকে মারধর করে আহত, বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ট্রিপল নাইনে ফোন করলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ৪জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। আহতরা হলেন, বাবুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম, ছেলে মিজানুর রহমান,

 বড় ভাইয়ের স্ত্রী জাহানারা বেগম এবং ভাতিজি শাহিনুরা বেগম। তাদের হাত,পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম হয়েছে। 

গতকাল শনিবার বিকালে পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম পাশা এলিচের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত বাবুল জানান, ড্রাইভার মানিক ও ড্রাইভার ছালাম দুই ভাই এবং তাদের সাথে আরও কয়েকজন বাড়িতে এসে পারিবারের সবাইকে  এলোপাথাড়ি মারধর করে। বাড়ির টিনের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে রান্না ঘরের চাটি বেড়া গুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন ,বসতভিটা জমির উপর আদালতে মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন হয়রানি করে আসছে দুই ভাই। তারেই জের ধরে শনিবারের মারধর ও হামলা। 

বাবুল আরও জানান, সেই সময়ে সবাই ভাত খেতে বসেছি। তাঁরা একপর্যায়ে ইট দিয়ে বাড়িতে ঢিল মারে। আমি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি। প্রতিবেশী অনেকেই তাদের আচরণ দেখেছে। কেহ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। তা-নাহলে মানুষ এভাবে একজনের বাড়িতে এসে মারধর ও হামলা ভাংচুর করতে পারে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। সবাই হাসপাতালে, আমি ব্যাথার বড়ি খেয়ে বাড়িতে আছি। চিকিৎসা শেষে মামলা করিব। অভিযোগের বিষয়ে ড্রাইভার মানিক ও আব্দুস ছালাম জানায়, জমির সীমানা নিয়ে বাবুলের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছে। কয়েক দফায় থানায় বিচার শালিসও হয়েছিল। কিন্তু, আজকে বাবুল কিছু বাহিরের লোকজন এনে আমাদের টয়লেট বসার কাজে বাধা দিলে এই বিরোধ তৈরি হয়। আমাদেরও হাত পা কাটা ছেড়া গেছে। 

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শেয়ার করুন