বৈষম্য দূরীকরণ ও স্কোরিং এর পয়েন্টের বাহিরে গিয়ে বদলি নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে মিটিংয়ের আহবান করে লাপাত্তা শিক্ষা অফিসার মর্মে গণমাধ্যমে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের পশ্চিম খুটামারা গ্রামের মোত্তালিব হোসাঈন ও আবু তাহের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কৈমারী ইউনিয়নের বালাপাড়া গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লিপি আক্তার ও দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুন ফেরদৌসী কর্মস্থল বিদ্যালয় হতে বাড়ি দূরত্ব হওয়ার কারণ দেখিয়ে গত ২৬শে জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের সঙ্গে আরো ১০টি আবেদন জমা পরে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার আলোকে জানা যায়, প্রাথমিকে স্কোরিং এর আকাড় নির্ধারন বা পয়েন্টের পার্সেন্টেসের উপর নির্ভর করে বদলি করে থাকেন কর্মকর্তারা। মোত্তালিব হোসাঈন অভিযোগ করে বলেন, স্কোরিং এর ভিত্তিতে বদলি মুল্যয়ন করার কথা থাকলেও শিক্ষা অফিসার আর্থিক সুবিধা নিয়ে যার স্কোরিং কম তাকে বদলি করছেন। আর যাদের স্কোরিং বেশি তারা হয়েছেন বৈষম্যের স্বীকার। আবু তাহের অভিযোগ করে বলেন, এ সব বিষয়ে শিক্ষা অফিসার শরিফা আখতার ম্যাডামকে অবগত করলে তিনি সোমবার বিকাল ৩টায় তার অফিসে জরুরি মিটিং আহবান করে আমাদের সঙ্গে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় মিটিং আহবান করে শরিফা আখতার ম্যাডাম অফিস থেকে লাপাত্তা হয়েছেন। ফোন দিচ্ছি কিন্তু তিনি ধরছেন না। আমাদের সঙ্গে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে বদলির নির্ধারিত সময় নষ্ট করেছেন। এতে আমরা পারিবারিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আখতার এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, স্কোরিং দেখে বদলি করে থাকেন শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। আমি উপজেলা থেকে প্রেরণ করি শুধু। তাছাড়া মিটিং আহবান করে লাপাত্তা এটি মিথ্যা অভিযোগ।