Monday, February 17, 2025

পাবনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জামায়াত কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ



তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ পাবনায় জামায়াতে ইসলামীর একটি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার হিমাইতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মীকে।
জামায়াতের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরেই জমি নিয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ করিমের সঙ্গে জেলা সদরের মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর লোকজনের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে শনিবার বিকেলে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার হিমাইতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা করা হয়। এ সময় কয়েকটি দোকানপাট ও জামায়াতের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় এবং একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ করিম অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট থেকেই মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে দখলদারি ও আধিপত্য বিস্তার চলছিল। তার নির্দেশেই নিজেদের শক্তি জানান দিতে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে ২৫-৩০ জন অস্ত্রধারী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চায়নিজ কুড়াল নিয়ে হিমাইতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। তারা একটি মুদিদোকান ভাঙচুর করে লুট করে। এ ছাড়া অটোরিকশার গ্যারেজ ও জামায়াত নেতা আবদুল করিমের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলে যায়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী বলেন, ‘এ ঘটনা আমি মোটেও জানি না। ঘটনার সময় থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিই। এর বেশি কিছু জানা নেই। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে আমার ওপর মিথ্যা দায় চাপানো হচ্ছে। আমি এর প্রতিবাদ করছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম ইত্তেফাককে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ও ভাঙচুরের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক।


শেয়ার করুন