তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের দমনে দেশব্যাপী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ৭২ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৬০৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী। ৮ই ফেব্রুয়ারি রাত থেকে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। প্রথম ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয় ১৩০৮ জনকে। ৯ই ফেব্রুয়ারি ডেভিল হান্টে ৩৪৩ ও অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টে ১ হাজার ১৭৮ জনসহ ১৫২১ ও সর্বশেষ ডেভিল হান্টে ৬০৭ জন ও অন্যান্য মামলা এবং ওয়ারেন্টে ১ হাজার ১৬৮ জন মিলিয়ে ১ হাজার ৭৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই দিনের অভিযানে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, আসামি গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অস্ত্র উদ্ধার করেছেন অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার অভিযানে ২টি পিস্তল, ১টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি পাইপ গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি কার্তুজ, ২টি চাপাতি, ৬টি রামদা, ১৩টি ছুরি, ২টি কুড়াল, ৩টি হাতুড়ি, ২টি প্লাস, ২টি বাটাল, ২টি লাঠি ও ১টি করাত উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগের দিন ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, ৬টি শটগান কার্তুজ, ১০টি ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। অভিযানিক সূত্রগুলো বলছে, অপারেশন ডেভিল হান্টে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও, দাগি অপরাধী, জেল পলাতক আসামি, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ছাড়া অভিযানে থানা থেকে লুট হওয়া এবং অপরাধীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বৈঠকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুর এবং গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার সময় সরকার এই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র ঃ দৈনিক মানবজমিন।