তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দিতে চায় না বিএনপি। তবে এই সরকার কোনভাবেই যেন নানা অজুহাতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখা এবং নির্বাচন বিলম্বিত করতে না পারে সেজন্য চাপেও রাখতে চায় দলটি। এ লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বিএনপি। গতকাল সোমবারও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিএনপির প্রতিনিধি দল। একই সঙ্গে সরকারের ওপর নির্বাচনী চাপ বাড়াতে আগামীকাল থেকে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে দলটি সারাদেশের সকল জেলায় সমাবেশ করবে। ইতোমধ্যে এসব সমাবেশের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে খুলনা, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, ব্রহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জে সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর ধারাবাহিকভাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের অন্যান্য জেলায়ও হবে সমাবেশ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কারণ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিগত দেড় দশক ধরে দেশের জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। সেই ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। দেশের জনগণ গত ১৬-১৭ বছর ধরে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে নেই। ভোট দিতে পারে নেই। জনগণের চাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই পরিবেশটা তৈরি করবে দেশের জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে ভোট দিতে পারে। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যদি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল হতে দিতে চাই, তাহলে সরকারকে গাইড করার জন্য, পরিচালনা করার জন্য আমাদেরকে যথেষ্ট সমালোচনা করতে হবে। এমনকি আমাদেরকে সড়কে আন্দোলনও করতে হতে পারে সরকারকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার জন্য।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়। সরকারের দায়িত্ব নির্বাচনের আয়োজন করা। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে যেকোনো ধরনের কর্মসূচি পালনের অধিকার রাখে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোন মূল্যে নির্বাচন আদায় করতে চায় দলটি। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ পতন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন ইস্যুতে ঐক্যমত গঠন করা এবং সর্বোপতি সারাদেশে সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জনমত গঠণের মাধ্যমে সরকারকে চাপে রাখতে চায় বিএনপি। তবে এজন্য কোনভাবেই এই সরকারকে ব্যর্থ হতে না দেওয়া এবং অন্য কোন পক্ষ যাতে কোন ধরণের সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক ও সজাগ থাকবে দলটি। তাই প্রাথমিকভাবে জনসমর্থিক ইস্যুকে কাজে লাগিতে মাঠে নামছে তারা। সরকার এসব ইস্যুতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারছে না এবং দ্রুত নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হতে পারে সেই বিষয়টিও জনগণের সামনে তুলে ধরবেন দলটির নেতারা। যাতে সাধারণ মানুষের মধ্য থেকেও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও দাবি আসে। এছাড়া ৫ আগস্ট পরবর্তি সময়ে জামায়াত সারাদেশে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে যেভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়া এবং আলোচনা তৈরি করেছে সেটিকে কাউন্টার দিতেও বিএনপির সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিত নিশ্চিত করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, জেলা সমাবেশগুলোতে তিনটি ইস্যুকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এগুলো হচ্ছে- দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা পরস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এছাড়া হাসিনাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের সকলের বিচার নিশ্চিত করা, এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের যেসব দোসর বহাল তবিয়তে আছে তাদের বিতাড়ন করে বিচারের সম্মুখিন করা, বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহারসহ অন্যান্য ইস্যুগুলোও থাকছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, সারাদেশের সমাবেশে বিএনপির পক্ষ থেকে ৩টি বিষয়ে জনমত গঠন করে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে- দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ছিলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি এরা ওই পথে হাঁটছে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কারণ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিগত দেড় দশক ধরে দেশের জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। সেই ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। দেশের জনগণ গত ১৬-১৭ বছর ধরে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে নেই। ভোট দিতে পারে নেই। জনগণের চাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই পরিবেশটা তৈরি করবে দেশের জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে ভোট দিতে পারে। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যদি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল হতে দিতে চাই, তাহলে সরকারকে গাইড করার জন্য, পরিচালনা করার জন্য আমাদেরকে যথেষ্ট সমালোচনা করতে হবে। এমনকি আমাদেরকে সড়কে আন্দোলনও করতে হতে পারে সরকারকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার জন্য।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়। সরকারের দায়িত্ব নির্বাচনের আয়োজন করা। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে যেকোনো ধরনের কর্মসূচি পালনের অধিকার রাখে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোন মূল্যে নির্বাচন আদায় করতে চায় দলটি। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ পতন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন ইস্যুতে ঐক্যমত গঠন করা এবং সর্বোপতি সারাদেশে সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জনমত গঠণের মাধ্যমে সরকারকে চাপে রাখতে চায় বিএনপি। তবে এজন্য কোনভাবেই এই সরকারকে ব্যর্থ হতে না দেওয়া এবং অন্য কোন পক্ষ যাতে কোন ধরণের সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক ও সজাগ থাকবে দলটি। তাই প্রাথমিকভাবে জনসমর্থিক ইস্যুকে কাজে লাগিতে মাঠে নামছে তারা। সরকার এসব ইস্যুতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারছে না এবং দ্রুত নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হতে পারে সেই বিষয়টিও জনগণের সামনে তুলে ধরবেন দলটির নেতারা। যাতে সাধারণ মানুষের মধ্য থেকেও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও দাবি আসে। এছাড়া ৫ আগস্ট পরবর্তি সময়ে জামায়াত সারাদেশে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে যেভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়া এবং আলোচনা তৈরি করেছে সেটিকে কাউন্টার দিতেও বিএনপির সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিত নিশ্চিত করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, জেলা সমাবেশগুলোতে তিনটি ইস্যুকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এগুলো হচ্ছে- দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা পরস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এছাড়া হাসিনাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের সকলের বিচার নিশ্চিত করা, এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের যেসব দোসর বহাল তবিয়তে আছে তাদের বিতাড়ন করে বিচারের সম্মুখিন করা, বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহারসহ অন্যান্য ইস্যুগুলোও থাকছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, সারাদেশের সমাবেশে বিএনপির পক্ষ থেকে ৩টি বিষয়ে জনমত গঠন করে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে- দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ছিলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি এরা ওই পথে হাঁটছে না।