তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে বিরোধের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বাড়ছে উত্তেজনা। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করে প্রকাশ্যে বক্তব্যও দিচ্ছে। হামলার জন্য ছাত্রদলকে দোষারোপ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিপরীতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদের একাংশ বাধা দিলে এমন ঘটনার সূত্রপাত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাসগুলোয় প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ফ্যাসিস্টবিরোধী এসব ছাত্রশক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছে। অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন কমবেশি ৩০ হাজার। অথচ ফ্যাসিস্টবিরোধী শক্তির অন্যতম নিয়ামক হিসাবে খ্যাতি পাওয়া এসব ছাত্র সংগঠনের শক্তিগুলো এখন ভবিষ্যৎ ছাত্র রাজনীতির কর্তৃত্ব ধরে রাখাসহ বহুমুখী স্বার্থ ও রাজনীতির নানা হিসবনিকাশের মধ্যে নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে। তারা মনে করেন, এটি পুরো জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক শুধু নয়, এর মধ্য দিয়ে সর্বনাশের পদধ্বনিও শোনা যাচ্ছে। এটি একধরনের অশনিসংকেতও বটে। এর পেছনে তৃতীয় পক্ষের দূরবর্তী ইন্ধন থাকতে পারে। তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ফ্যাসিস্টবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর।