তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের সামনে একটি মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসছে। আমরা যেন এ সুযোগকে কোনভাবেই হাত ছাড়া না করি। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকবে। তবে দেশের স্বার্থে আমরা যেন ঐকমত্য পোষন করতে পারি। আমরা যেন একটি মানবিক বাংলাদেশ গঠন করতে পারি। গতকাল রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার গুণীজনদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে এক কথা বলেন।
ডা.শফিকুর রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫৪টি বছর অতিবাহিত হয়েছ্ েএর মধ্যে নানা ঘাত প্রতিঘাতের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবাদল হয়েছে। কিন্তু কেউই আমাদের প্রত্যাশাপূরণ করতে পারেনি। একটি ইনসাফের বাংলাদেশ, একটি ন্যায়ের বাংলাদেশ, একটি মানবিক বাংলাদেশ এতটুকুই আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু দু:খের বিষয় তা আজও আমরা পাইনি। যুগ যুগ ধরে নানা অস্থিরতা চলে আসছে। যুগ যুগ ধরে অন্যায় জুলুম চলে আসছে। কোন সময় জুলুমের মাত্রা একটু কম কোন সময় একটু বেশি। জুলুম কোখনো বন্ধ হয়নি। জুলুম থেকে জাতি কখনো মুক্তি পায়নি।
তিনি বলেন, গত দু’দিন আগে ৫ বছরের একটি শিশু সারা বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে চলে গেছে। সে চিৎকার দিয়ে বলে গেছে লজ্জা লজ্জা এই সমাজ ও দেশ ও জাতির। রাষ্ট্রের পক্ষে ঘরে ঘরে গিয়ে সবার নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে রাষ্ট্র যদি তার নাগরিককে নৈতিক শিক্ষায় মানববিক করে গড়ে তুলতে পারে তাহলে একটি সুন্দর ও মানবিক দেশ গঠন সম্ভব। আর মানবিক দেশ গঠন হলে সেখানে নারীরা থাকবে নিরাপদ, তারা তাদের পূর্ণ সম্মান ও মর্যাদা পাবে।
জামায়াতের আমির বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষিত লোকের অভাব নেই। কিন্তু নৈতিক শিক্ষার বড় অভাব। এখানে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত সবাই একাকার হয়ে গেছে। নৈতিক শিক্ষার অভাবে সমাজে এই অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। মহান আল্লার দরবারে দোয়া করি আগামীর বাংলাদেশ যেন নৈতিক শিক্ষা নির্ভর একটি বাংলাদেশ হয়। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, মেরুদন্ড শক্তিশালী হলে জাতিও শক্তিশালী হবে। বর্তমান শিক্ষায় না আছে নৈতিকমান না আছে জাগতিক মান। শিক্ষা এখন অর্থহীন। আমরা একটা সার্টিফিকেট দেই আমাদের সন্তানদের হাতে, কিন্তু তার কোন মর্যাদা নেই। আমরা এমন শিক্ষা এবং সার্টিফিকেট দেখতে চাই না। এই বাংলাদেশকেই আমাদের গড়তে হবে। এই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের হাত হবে দেশ গড়ার কারিগর। দুনিয়ায় যত জাতি উন্নত হয়েছে শিক্ষা দিয়েই হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী মনে করে শিক্ষাকে যদি নৈতিক মানে উন্নত করা যায় তাহলেই একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।