Sunday, March 16, 2025

খুনী হাসিনার লেঠেল নেত্রী তুরিন আফরোজ এখন কোথায়?



মাহমুদ আলহাছান, স্টাফ রিপোর্টার, তিস্তা নিউজঃ

ঘৃণ্য স্বৈরাচার, গণহত্যাকারী, খুনী হাসিনার লেঠেল বাহিনীর অন্যতম নেত্রী তুরিন আফরোজের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ইতেমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তার বিরুদ্ধে শাপলা ম্যাসাকার মামলায় গ্রেফতারি পরেয়ানা জারি করেছে।

২০১৭ সালে তার নিজ উপজেলা জলঢাকার ট্রাফিক মোড়ে জামায়াত বিএনপিকে প্রতিহত করতে শান্তি সমাবেশের নামে লাঠি হাতে তাকে সরাসরি সন্ত্রাসীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিলো।

২০১৮ সালে আরেক শাহবাগী ফরিদ উদ্দিন মাসউদের সাথে সমন্বিতভাবে দেশের ১১৬ জন শীর্ষস্থানীয় ওলামা মাশায়েখকে জঙ্গী ও দেশের জন্যে হুমকী আখ্যয়িত করে তালিকা তৈরী করেছিলো এই তুরিন আফরোজ এবং এর ফলে আলেম ওলামাগনের উপর নির্যাতন নিপীড়নের লিখিত লাইসেন্স তুলে দেয়া হয়েছিলো।

তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে তুরিন আফরোজ যখন তার গ্রামের বাড়ী জলঢাকার বালাগ্রামে আসতেন তখন তার প্রোটোকল মেইন্টেন করতে নীলফামারীর পুলিশ প্রশাসনের ঘুম হারাম হয়ে যেতো। এই ক্ষমতার দাপটে তিনি তার গর্ভধারিণী মা সহোদর ভাইকে পর্যন্ত ঢাকার বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের অংশ সহ জবরদখল করেন। এ নিয়ে তার মা নিজেই সে সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরবর্তীতে ঘুষ কেলেঙ্কারির দায়ে তাকে প্রসিকিউটরের চাকুরি চলে গেলেও শেখ হাসিনার আশির্বাদ তার উপর বরাবরই বহাল ছিলো।

৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরে তুরিন আফরোজ তার প্রতি আক্রমনের ভূয়া নাটক সাজিয়ে মিডিয়ায় সামনে বক্তব্য দেন এবং এর মধ্য দিয়ে ইন্ডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেন। এরপর থেকে তাকে আর কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তার ক্ষমতার পারদ যখন তুঙ্গে তখন জলঢাকার কিছু পাতি নেতা বিশাল নেতায় পরিণত হন এবং তুরিন আফরোজের ছত্রছায়ায় জলঢাকা উপজেলা জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। জামায়াত বিএনপির লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, মামলা বাণিজ্য, চাকুরি দেওয়ার নামে বিপুল অর্থ বানিজ্য এমনকি সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনাও ঘটে। সেসব নেতারাও গা-ঢাকা দিয়ে আছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা তাদের স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে যাচ্ছে, পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না নাকি পাওয়ার চেষ্টা করছে না এ বিষয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে।

খুনী হাসিনার গুম ও খুনের প্রত্যক্ষ সহযোগী ও আরেক খুনি তুরিন আফরোজ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে জলঢাকাকে কলঙ্কমুক্ত করার অপেক্ষায় পুরো নীলফামারীবাসী প্রহর গুনছে।


শেয়ার করুন