তিস্তা নিউজ ডেস্ক ঃ রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমানসহ ১৪ জন রাসেল স্কয়ারের একটি ভবনে শেখ কবির নামের এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে এবং হামলা করেছেন। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় শেখ কবিরের প্রতিষ্ঠান কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অফিস সহকারী বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমান ছাড়াও ইমন, রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মো. উৎস, মো. আবির, মো. ফারহান, পারভেজ হাওলাদার, হৃদয় হোসেন, নাইম হাওলাদার, আরাফাত আহম্মেদ, রুবেল, রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ–সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। ওসি মুক্তারুজ্জামান আরও বলেন, বাদীর অভিযোগ হামলাকারীরা চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, তিন লাখ টাকা ও কিছু চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা উদ্ধার করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তারুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দাবি ওই ভবনে আওয়ামী লীগের অফিস চলছে, এমন খবর পেয়ে তারা সেখানে গেছেন। ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস পাওয়া গেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস ছিল না, শেখ কবিরের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক অফিস।
পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তারুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দাবি ওই ভবনে আওয়ামী লীগের অফিস চলছে, এমন খবর পেয়ে তারা সেখানে গেছেন। ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস পাওয়া গেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস ছিল না, শেখ কবিরের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক অফিস।
এই ঘটনার কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে মুক্তারুজ্জামান আরও বলেন, সিসিটিভিগুলো ভাঙা পাওয়া গেছে। (ফুটেজ উদ্ধার) প্রক্রিয়াধীন, সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই অফিসের ড্রয়ার ভাঙা পাওয়া গেছে।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক।