Monday, March 10, 2025

আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মাগফিরাত লাভের মাস রমজান



 রমজান মাস। এখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়েছে। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয়েছে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষক ঘোষণা করছেÑ ‘ওহে কল্যাণ-অন্বেষী! নেকির পথে তুমি আরো অগ্রসর হও। ওহে অকল্যাণের পথিক! তুমি নিবৃত্ত হও, নিয়ন্ত্রিত হও।’ (জামে তিরমিজি-৬৮২) চারিদিকে কেবল ক্ষমা ও মাগফিরাতের ঘোষণাÑ রোজা রাখো, পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেবো। তারাবিহ-তাহাজ্জুদ আদায় করো, ক্ষমা লাভে ধন্য হও। লাইলাতুল কদরে ইবাদত করো, মাগফিরাতের সাগরে অবগাহন করো। ইফতারের সময় ক্ষমা করা হয়, রাতে ক্ষমা করা হয়, দিনে ক্ষমা করা হয়। চারিদিকে ক্ষমা ক্ষমা রব।

এমন সুযোগ যেন আমার হাতছাড়া না হয়। এজন্য সতর্ক হব রমজানের শুরুতেই। রমজানের একেবারে শেষ প্রহরে আমরা আফসোস করে বলি হায়, রমজান চলে গেল, কিছুই করতে পারলাম না; জানি না মাগফিরাতের নিয়ামত লাভ করতে পারলাম কি-না! সুতরাং শুরুতেই সচেতন হই, সাধ্যমতো কাজে লাগাই রমজানকে। (যদিও আল্লাহর নেক বান্দারা সাধ্যমতো আমল করার পরও আফসোস করেন) স্মরণ রাখি নবীজীর এ হাদিস।

জাবের রা. থেকে বর্ণিত একবার নবী কারিম (সা.) মিম্বারে আরোহণ করলেন। প্রথম ধাপে উঠে বললেন, আমিন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে উঠেও বললেন, আমিন। সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর রাসূল! আপনাকে (এভাবে) তিনবার আমিন বলতে শুনলাম? তখন নবীজী বললেন, আমি যখন মিম্বারের প্রথম সিঁড়িতে আরোহণ করলাম তখন জিবরিল আগমন করলেন এবং বললেন, ওই ব্যক্তি হতভাগা, যে রমজান মাস পেলো, আর রমজান গত হয়ে গেল কিন্তু তার গুনাহ মাফ হলো না। আমি বললাম, আমিন।... (আলআদাবুল মুফরাদ, বুখারি-৬৪৪)

নবীজী তো কখনো আমাদের ধ্বংস চাইবেন না; তিনি চেয়েছেন এমন অবারিত সুযোগকে যেন আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করি। তাই আসুন, রমজানের শুরুতেই পরিকল্পনা গ্রহণ করি। রমজানের গুরুত্ব অনুধাবন করে একে যথাযথ কাজে লাগাই।



শেয়ার করুন