
মাদারীপুরে ‘ইভটিজিং’র প্রতিবাদ করায় : মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মামা
সাব্বির হোসাইন আজিজ মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে ‘ইভটিজিং’ এর প্রতিবাদ করায় এক স্কুল ছাত্রীর মামাসহ দুইজন বৈশাখী মেলার মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছে। এর মধ্যে মাম হামিম খানের অবস্থা আশংঙ্খা জনক, তিনি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হলেন, হামিম খান(২০) ও শাহিন সরদার(৩০)
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হামিম এর বড় ভাই ও ইভটিজিং এ স্বীকার ছাত্রীর মামা রিপোন খান জানান, আমার ছোট ভাই হামিম ও শাহিন সরদার বৈশাখী মেলার ভিতর একটি কসমেটিক্স এর দোকান নিয়ে ব্যাবসা করছে। আজ সকালে আমার বোনের মেয়ে ও তার কয়েক বন্ধবী মেলার স্টল ঘুরে দেখার জন্য আসে। পক্ষান্তরে শহরের বাগেরপার এলাকার আলামিন হাওলাদারের ছেলে অন্তর হওলাদার (২০)ও অমিত হওরাদার (১৮) এদের বন্ধু আশিক ও জুলহাস সহ কিছু বখাটে ছেলে আমার ভাগনীকে উদ্যেশো করে কুট’উক্তি করে। এই বিষয়টা কসমেটিক্স দোকানে থেকে বের হয়ে আমার ছোট ভাই হামিম প্রতিবাদ করলে, বখাটেরা চলে যায়। ঘটনার কিছুখন পরে স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে পুনরায়, মেলার মাঠে প্রবেশ করে আমার ছোট ভাইকে অন্যলোক দিয়ে ডেকে দোকান থেকে বেড় করে রামদা,স্যানদা দিয়ে এলোপাতারী ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। দোকানের সহযোগি শাহিন সরদার ও পাশের কয়েক দোকানের লোকজন মিলে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। আমি ঐ বখাটে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।
দোকানের আহত শাহিন সরদার জানান, অপরিচিত এক লোক কথা বলার জন্য ডেকে দোকান থেকে হামিমকে বের করে. কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই পরিকল্পিত ভাবে আসা বখাটে সন্ত্রাসী অন্তর, অমিত, আশিক, জুলহাস সহ ১০/১২জন রামদা, স্যানদা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হামিমকে গুরুতর জখম করে। এতে হামিমের দুইপা,হাতসহ সাতটি কোপ লাগে এতে প্রায় শতাধিক সেলাই লাগে। আমি বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীদের কোপ আমার হাতেও লাগে। আমার ভাবতে অবাক লাগে এসপি অফিসের দেওয়ালের পাশেই বৈশাখী মেলার বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলায় আইনশিৃংখলা বাহিনি সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করে। তবুও কেন এই র্দূঘটনা ঘটলো ? তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়, আমরা ভয়ে সবাই আতঙ্কে আছে। এরকম হলে আগামীতে মেলার স্টল অনেক খালি থাকবে। ঘটনায় জড়িত সকল সন্ত্রাসী বখাটেদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি দাবি করছি।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভুগীদের অভিযোগের ভিক্তিতে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।